ঢাকা ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শ্রম দিবসেও থেমে নেই ওদের ঘামঝরানো শ্রম

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:০৪:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
  • / ৪০ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আজ ১ মে, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। এই দিনটি বিশ্বের কোটি কোটি শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আর সংগ্রামের প্রতীক। এইদিনটি তাই বিশ্বজুড়ে সকল ধরণের শ্রম বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু রাজধানী ঢাকার চিত্র ছিল কিছুটা ভিন্ন। কেউ এই দিনটিতে ছুটির আমেজে কাটাচ্ছেন। আবার কাউকে দেখা যায় পেটের ক্ষুধা নিবারনে ক্লান্তহীনভাবে কাজ করে যেতে। তাই আজকের ১ মে দিবসটি তাদের কাছে যেন অন্যান্য দিনের মতোই একটি দিন। দিনভর কর্ম শেষে ক্ষুধা নিবারনের জন্য কয়েকটি টাকা অর্জন করা।

এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে গাবতলীতে। যেখানে রোদের খরতাপেও বোর্ড থেকে বালি তুলছেন নারী-পুরষ শ্রমিকরা। এছাড়া রাজধানীর খিলক্ষেত ও মাটিকাটা এলাকাতেও দেখা যায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরণের দৈনন্দিন শ্রমে নিয়োজিত শ্রমিকরা অবিরাম কাজ করে চলেছেন।

খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে ইট টানার কাজে ব্যস্ত একজন শ্রমিক জানান, অন্যান্য শ্রমিক দিবসের মতো আজকের দিনটিও তার কাছে তেমন কোনো ভিন্নতা নিয়ে আসেনি। সকাল থেকেই তিনি কাজে লেগেছেন। সামান্য রুটি আর দুপুরে আলুভর্তা দিয়ে কোনোমতে ক্ষুধা নিবারণ করে, এখনও তিনি ইট টেনে চলেছেন। তার ক্লান্ত মুখ আর পরিশ্রান্ত শরীর যেন জানান দিচ্ছে জীবন কত কঠিন।

একটু দূরে, মুখে গভীর ক্লান্তির ছাপ নিয়েও ইট ভাঙার কাজ করছিলেন রহমান নামের আরেক শ্রমিক। তিনি বলেন, আমাদের তো দৈনিক খরচ দৈনিক জোগাড় করতে হয়। টাকা ইনকাম হলেই তো খাব। দিবস আমাদের জন্য না। আমাদের সবদিনই সমান। একদিন কাজ না করলে পরের দিন আর খাবার জুটবে না।

আছিয়া বেগমও পাশেই ইট ভাঙার কাজ করছিলেন। তার হাতে কোনো সুরক্ষা নেই, নেই পায়ে কোনো কাজের উপযোগী জুতো। তবুও সন্ধ্যার আগে তার কাজ শেষ করার তাড়া।

শুধু নির্মাণ শ্রমিকরাই নন, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে একই চিত্র দেখা যায়, রিকশা ও ভ্যান চালকদের মধ্যে। যাত্রী বা মালামাল পরিবহনে তারা ছুটে চলেছেন শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শ্রম দিবসেও থেমে নেই ওদের ঘামঝরানো শ্রম

আপডেট সময় : ০৮:০৪:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

আজ ১ মে, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। এই দিনটি বিশ্বের কোটি কোটি শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আর সংগ্রামের প্রতীক। এইদিনটি তাই বিশ্বজুড়ে সকল ধরণের শ্রম বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু রাজধানী ঢাকার চিত্র ছিল কিছুটা ভিন্ন। কেউ এই দিনটিতে ছুটির আমেজে কাটাচ্ছেন। আবার কাউকে দেখা যায় পেটের ক্ষুধা নিবারনে ক্লান্তহীনভাবে কাজ করে যেতে। তাই আজকের ১ মে দিবসটি তাদের কাছে যেন অন্যান্য দিনের মতোই একটি দিন। দিনভর কর্ম শেষে ক্ষুধা নিবারনের জন্য কয়েকটি টাকা অর্জন করা।

এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে গাবতলীতে। যেখানে রোদের খরতাপেও বোর্ড থেকে বালি তুলছেন নারী-পুরষ শ্রমিকরা। এছাড়া রাজধানীর খিলক্ষেত ও মাটিকাটা এলাকাতেও দেখা যায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরণের দৈনন্দিন শ্রমে নিয়োজিত শ্রমিকরা অবিরাম কাজ করে চলেছেন।

খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে ইট টানার কাজে ব্যস্ত একজন শ্রমিক জানান, অন্যান্য শ্রমিক দিবসের মতো আজকের দিনটিও তার কাছে তেমন কোনো ভিন্নতা নিয়ে আসেনি। সকাল থেকেই তিনি কাজে লেগেছেন। সামান্য রুটি আর দুপুরে আলুভর্তা দিয়ে কোনোমতে ক্ষুধা নিবারণ করে, এখনও তিনি ইট টেনে চলেছেন। তার ক্লান্ত মুখ আর পরিশ্রান্ত শরীর যেন জানান দিচ্ছে জীবন কত কঠিন।

একটু দূরে, মুখে গভীর ক্লান্তির ছাপ নিয়েও ইট ভাঙার কাজ করছিলেন রহমান নামের আরেক শ্রমিক। তিনি বলেন, আমাদের তো দৈনিক খরচ দৈনিক জোগাড় করতে হয়। টাকা ইনকাম হলেই তো খাব। দিবস আমাদের জন্য না। আমাদের সবদিনই সমান। একদিন কাজ না করলে পরের দিন আর খাবার জুটবে না।

আছিয়া বেগমও পাশেই ইট ভাঙার কাজ করছিলেন। তার হাতে কোনো সুরক্ষা নেই, নেই পায়ে কোনো কাজের উপযোগী জুতো। তবুও সন্ধ্যার আগে তার কাজ শেষ করার তাড়া।

শুধু নির্মাণ শ্রমিকরাই নন, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে একই চিত্র দেখা যায়, রিকশা ও ভ্যান চালকদের মধ্যে। যাত্রী বা মালামাল পরিবহনে তারা ছুটে চলেছেন শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।