মধ্যাহ্নভোজের ঠিক দুই মিনিট আগে আবারো সাগরিকায় বৃষ্টির হামলা। জিম্বাবুয়ের ম্যাচের তৃতীয় দিনে ব্যাটিং করতে নেমেও বৃষ্টি বাধায় পড়েছিলেন টাইগাররা। তবে মাঠে নেমেই নতুন রুপে আবির্ভূত হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দলকে একাই যেন টেনে নিয়ে যাচ্ছেন বড় স্কোর গড়ার পথে। বিরতিতে মাঠ ছাড়ার আগে বাংলাদেশের ইনিংসের সাথে যোগ করেছেন ১ উেইকেটে ১১৩ রান। সব মিলে দ্বিতীয় সেশনের ব্যাটিংয়ের আগে বাংলাদেশ ১৭৭ রানের লিড নিয়েছে। আর দলীয় স্কোর ছাড়িয়ে গেছে চারশত রান। ৮ উইকেটে ৪০৪ রান। ১০৯ বলে ৭৬ রানে ব্যাটিং করছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন তানজিম হাসান সাকিব। তিনি ব্যাট করছেন ৫৭ বলে ২৯ রানে।

আগের দিন দলের হয়ে কথা বলতে এসে সাদমান ইসলাম জানিয়েছিলেন লিডটা একশোর উপরে নিতে পারলেই খুশ হবেন তারা। বলা যায়, বাংলাদেশের চাওয়ার চেয়ে প্রাপ্তিটা অনেক বেশি।

বুধবার চট্টগ্রামে তৃতীয় দিনের সকালে আকাশ ছিলো মেঘলা। খেলা শুরুর মিনিট দশেকের মধ্যে নামে বৃষ্টি, মাত্রা কম থাকায় ১৮ মিনিট কেবল বন্ধ ছিলো খেলা। এর বাইরে পুরো সেশন জুড়ে বাংলাদেশেরই উজ্জ্বল হাসি। লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত ৮ উইকেটে ৪০৪ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। ঘরের মাঠে টেস্টে ১৫ ইনিংস পর চারশো ছাড়ালো বাংলাদেশের পুঁজি।

দিনের শুরুতেই ৭ উইকেটে ২৯১ রান নিয়ে নেমে তাইজুল ইসলামকে নিয়ে এগুতে থাকেন মিরাজ। বৃষ্টি বিরতির পরও দুজনের ছন্দপতন হয়নি। জিম্বাবুয়ের বোলাররাও তৈরি করতে পারছিলেন না তেমন কোন হুমকি। ৮ম উইকেট জুটিতে ৬৩ রান আনার পর ফেরেন তাইজুল। লেগ স্পিনার ভিনসেন্ট মেসেকাজার বলে বেরিয়ে এসে স্টাম্পিং হন তিনি। ৪৫ বলে ২০ রান করেন তাইজুল।

এরপর অভিষিক্ত তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে আরেক জুটি গড়ে উঠে বাংলাদেশের। লিড ছাড়িয়ে যায় দেড়শো। ফিফটি পেরিয়ে ছুটতে থাকেন মিরাজ। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিং দক্ষতায় একাদশে আসা তানজিম দেন নিজের ব্যাটিং সামর্থ্যের প্রমাণ। শুধু সঙ্গ না দিয়ে তিনিও বাড়াতে থাকেন রান। এই দুজনের জুটিতে ১০৩ বলে যোগ হয়েছে ৬২ রান।