ঢাকা ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কাশ্মীর হামলার দুই সন্দেহভাজনের বাড়ি উড়িয়ে দিল ভারতীয় বাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:১২:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৪৬ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাকিস্তান থেকে বরাবরই দাবি উঠে আসছে কাশ্মিরের পাহেলগামের হামলা হচ্ছে ভারতের সাজানো। একটি অজুহাত তুলে কাশ্মিরের মুসলিম নিধনের নতুন ফন্দি আঁটছে দেশটি। এদিকে ডে ওয়ান থেকে ভারত সরকার অভিযোগ তুলে আসছে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই হামলা চালানো হয়েছে। তারই রেশধরে ‍দুই দেশের সীমানা রেখায় রাতভর চলে গোলাগুলি।

এখানে ক্ষান্ত নয়, ভারতীয় বাহিনী এবার সন্দেহাতীত তকমা দিয়ে নিধন শুরু করছে কাশ্মীরের মোসলমানদের। এমন অভিযোগ উঠে আসছে। ‍ভারতশাসিত কাশ্মীরের পাহেলগামে বেসামরিক নাগরিকদের হামলার অভিযুক্তদের ধরতে অভিযানে নেমেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

আজ শুক্রবার দুই সন্দেহভাজনের বাড়ি বোমা মেরে দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। ভারতীয় পুলিশের দাবি, পাহেলগামের হামলাকারীরা পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার (এলইটি) সদস্য।

তিন সন্দেহভাজনের স্কেচসহ পোস্টার প্রকাশ করেছে ভারতীয় পুলিশ। তারা হচ্ছেন—ভারতীয় নাগরিক আদিল হুসেইন থোকার, পাকিস্তানি নাগরিক আলি ভাই ও হাশিম মুসা। এর বাইরে আশিফ শেখ নামের আরেক ভারতীয় নাগরিককেও খোঁজা হচ্ছে। হামলার পর থোকার ও শেখের পরিবারের সদস্যদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শেখের বোন ইয়াসমিনা এএফপিকে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তাদের বাড়ি ঘেরাও করে সেনাবাহিনী। ‘একজন সেনা সদস্য আমাদের বাড়ির কাদামাটির প্রাচীর টপকে ভেতরে ঢুকে আবার বেরিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর এক বিশাল বিস্ফোরণে ধসে যায় পুরো বাড়ি,’ বলেন ইয়াসমিনা।

এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার ভোরে একইভাবে আদিল থোকারের পারিবারিক বাড়িও ধসিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের দাবি, অভিযুক্তরা লস্কর-ই-তৈয়বার শাখা ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)—এর সদস্য।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভারতের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, টিআরএফ সদস্য হিসেবে এই দুজন গত তিন-চার বছর ধরে সক্রিয় ছিলেন। তারা এর আগে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপরও হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এই কর্মকর্তার মতে, থোকার ও শেখ দীর্ঘদিন ধরে তাদের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় আছেন। যেকোনো সন্দেহভাজনের ব্যাপারে তথ্য দিতে পারলে ২০ লাখ রুপির পুরস্কার ঘোষণা করেছে ভারতীয় পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কাশ্মীর হামলার দুই সন্দেহভাজনের বাড়ি উড়িয়ে দিল ভারতীয় বাহিনী

আপডেট সময় : ১১:১২:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

পাকিস্তান থেকে বরাবরই দাবি উঠে আসছে কাশ্মিরের পাহেলগামের হামলা হচ্ছে ভারতের সাজানো। একটি অজুহাত তুলে কাশ্মিরের মুসলিম নিধনের নতুন ফন্দি আঁটছে দেশটি। এদিকে ডে ওয়ান থেকে ভারত সরকার অভিযোগ তুলে আসছে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই হামলা চালানো হয়েছে। তারই রেশধরে ‍দুই দেশের সীমানা রেখায় রাতভর চলে গোলাগুলি।

এখানে ক্ষান্ত নয়, ভারতীয় বাহিনী এবার সন্দেহাতীত তকমা দিয়ে নিধন শুরু করছে কাশ্মীরের মোসলমানদের। এমন অভিযোগ উঠে আসছে। ‍ভারতশাসিত কাশ্মীরের পাহেলগামে বেসামরিক নাগরিকদের হামলার অভিযুক্তদের ধরতে অভিযানে নেমেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

আজ শুক্রবার দুই সন্দেহভাজনের বাড়ি বোমা মেরে দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। ভারতীয় পুলিশের দাবি, পাহেলগামের হামলাকারীরা পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার (এলইটি) সদস্য।

তিন সন্দেহভাজনের স্কেচসহ পোস্টার প্রকাশ করেছে ভারতীয় পুলিশ। তারা হচ্ছেন—ভারতীয় নাগরিক আদিল হুসেইন থোকার, পাকিস্তানি নাগরিক আলি ভাই ও হাশিম মুসা। এর বাইরে আশিফ শেখ নামের আরেক ভারতীয় নাগরিককেও খোঁজা হচ্ছে। হামলার পর থোকার ও শেখের পরিবারের সদস্যদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শেখের বোন ইয়াসমিনা এএফপিকে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তাদের বাড়ি ঘেরাও করে সেনাবাহিনী। ‘একজন সেনা সদস্য আমাদের বাড়ির কাদামাটির প্রাচীর টপকে ভেতরে ঢুকে আবার বেরিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর এক বিশাল বিস্ফোরণে ধসে যায় পুরো বাড়ি,’ বলেন ইয়াসমিনা।

এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার ভোরে একইভাবে আদিল থোকারের পারিবারিক বাড়িও ধসিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের দাবি, অভিযুক্তরা লস্কর-ই-তৈয়বার শাখা ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)—এর সদস্য।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভারতের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, টিআরএফ সদস্য হিসেবে এই দুজন গত তিন-চার বছর ধরে সক্রিয় ছিলেন। তারা এর আগে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপরও হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এই কর্মকর্তার মতে, থোকার ও শেখ দীর্ঘদিন ধরে তাদের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় আছেন। যেকোনো সন্দেহভাজনের ব্যাপারে তথ্য দিতে পারলে ২০ লাখ রুপির পুরস্কার ঘোষণা করেছে ভারতীয় পুলিশ।