হতাশা দিয়ে টাইগারদের সিলেট টেস্ট শুরু

- আপডেট সময় : ০৬:৫৭:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
- / ৫৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের ইনিংসের দিকে তাকালে চোখ ভড়কে যাওয়াই স্বাভাবিক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এমন ব্যাটিং বিপর্যয় গত দুইদশকেও দেখা যায়নি। আজ রোববার সিলেট টেস্টের প্রথম দিনে শান্তবাহিনীদের ব্যাটিং চিত্রটা যেন সেই দুই যুগ আগের ক্রিকেটীয় দূর্ভিক্ষটা ফুটে উঠেছে। প্রথমদিনটা তো পারই করতে পারেনি, তারপর উইকেট ধ্বসের দৃশ্যটা যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ গত পনের বছরে একটু এগুতে পারেনি। টেস্ট মেজাজটােই যেন এখনো অচেনা টাইগার ব্যাটারদের। দুই উইকেটে ৯৮ রান করা দলটির ইনিংস সমাপ্তি ঘটেছে মাত্র ১৯১ রানে।
ঘরের মাঠে অবিশ্বাস্য হতাশা জনক ব্যাটিং চিত্র। অথচ অপরিচিত মাঠে জিম্বাবুয়ে ব্যাটিং চিত্রটা ছিলো ঝরঝরে। আলোস্বল্পতায় একটু আগেভাগে খেলা শেষ না হলে হয়ত প্রথম দিনেই রানের দূরত্বটা আরেকটু কমিয়ে যেতো জিম্বাবুয়ের। ১৪.১ ওভার শেষে কোন উইকেট না হারিয়েই ৬৭ রান সংগ্রহ করেছে অতিথি দলটি। প্রথম দিনের খেলা শেষে জিম্বাবুয়ে এখনও পিছিয়ে আছে ১২৪ রানে।
অথচ আগের দিন উইকেট নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও নাজমুল হাসানরা পারলেন না উইকেট আগলে থাকতে। নির্বিষ ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও নির্বিষ।
বল হাতে নাহিদ রানা-হাসান মাহমুদরাও হতাশ করেছেন। অবশ্য, টাইগার বোলারদের কথা বলতে গিয়ে জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট এবং বেন কারেনের ব্যাটিংকে খাটো করে দেখার অবকাশ নেই।
যে পিচে রান তুলতে বাংলাদেশের ব্যাটাররা হিমশিম খেয়েছেন পুরোটা দিন, শেষ বিকেলে সেখানেই ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট চালিয়ে বোলারদের শাসন করেছেন বেনেট। ৬ চারের সাহায্যে ৩৭ বলে ৪০ রান তার। বেন কারেন অবশ্য টেস্টই খেলেছেন। ৪৯ বলে করেছেন ১৭ রান। বাংলাদেশ অধিনায়ক চার বোলার ব্যবহার করেও পাননি উইকেটের দেখা।
এর আগে দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে লাঞ্চের আগেই দলীয় ৩১ রানে দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। নিয়াগুচির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন দুই ওপেনার সাদমান এবং জয়। এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে আসে ৬৬ রানের জুটি। বাংলাদেশের ইনিংসটাকে ১৯১ পর্যন্ত টেনে নেয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান এই জুটিরই।
লাঞ্চের পর অবশ্য এত সুসময় থাকেনি। দলীয় ৯৮ রানে ফেরেন অধিনায়ক শান্ত। ব্লেসিং মুজারাবানির দিনের প্রথম শিকার তিনি। মুশফিককে নিয়ে মুমিনুল পরের উইকেটে যোগ করেন আরও ২৫ রান। তবে সেখান থেকেই শুরু হয় বিপর্যয়ের। ১২৩ থেকে ১৩৭ রানে যেতেই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুমিনুল ৫৬ রান করলেও মুশফিক করেন মোটে ৪ রান। আর মিরাজ আউট হন ১ রান করে।
দলীয় ১৪৬ রানে তাইজুল ইসলাম ফিরে গেলে বড় স্কোরের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় বাংলাদেশের। তবুও ৮ম উইকেটে হাসান মাহমুদকে নিয়ে ৪১ রানের জুটি গড়েন জাকের আলী অনিক। তবে সেটা বাংলাদেশকে নিতে পারেনি দুইশ পর্যন্ত। ওয়েসলি মাধেভেরে এবং মুজারাবানি মিলে বাংলাদেশকে আটকে দেন ১৯১ রানেই।