ঢাকা ১২:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দুই উইকেটে ৮৪ রান নিয়ে লাঞ্চ ব্রেকে যায় বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:৩২:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৫৪ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাহমুদুল হাসানও সাদ্দাম ইসলাম বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে খুব একটা পরিচিত নাম নয়। অথচ এরই মধ্যে ১৭ টেস্ট খেলা হয়ে গেছে মাহমুদুল হাসানের। মোট করেছেন ৭২৮ রান। সাড়া জাগানো ব্যাটিং বলতে সেই টেস্ট ডেব্যু হওয়ার এক বছর পরেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩২৬ বলে ১৩৭ রানের ইনিংস। এছাড়া রয়েছে ৪ ফিফটি। শেষ ফিফটি হাঁকিয়েছেন ষোল ইনিংস আগে। আজ জিমম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যর্থ হয়েছেন ওপেনার হিসেবে। মাত্র ১৪ রানে নিয়েছেন বিদায়। জুটিতে খেলতে নামা সাদ্দামও দেখিয়েছেন ব্যর্থতা। তার ব্যাটে ১২ রান আসতেই আউট হয়ে যান। তবে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০২১ সালে তার একটি শতক ছিলো। ২০১৮ অভিষেক হওয়া সাদ্দামের গত একুশ টেস্টে ওটিই ছিলো তার একমাত্র শতক।

অথচ আজ  জিম্বাবুয়ান পেসারদের বল সামাল দিতে গিয়ে সিলেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের এই ওপেনিং জুটিটা দ্রুতই মাঠ ছেড়েছেন। প্রথম ঘন্টায় মাত্র ৩২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই ঘরের মাঠে চাপে পড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।

অবশ্য সেখান থেকে দলীয় নেতা নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিজ্ঞ মমিনুল হকের দৃঢ়তায় লাঞ্চের ব্রেকের আগে ২৪ ওভার শেষে ৮৪ রানে পৌছে দিয়ে কিছুটা স্বস্তি ফেরান।  শান্ত ৪৩ বলে ৩০ এবং মুমিনুল ৪৬ রানে ২১ রান করেন। যদিও মুমিনুলের উপর দিয়েও একটি ঝড় বয়ে গিয়েছিলো। রানের খাতায় নাম লিখার আগেই বিদায় হতে পারতে তিনি।  ব্লেসিং মুজারাবানির বলে তার সহজ ক্যাচ ফেলে দেন কিপার নিয়াশা মায়াভু।

সিলেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ের দুই পেসার রিচার্ড এনগারাভা ও ব্লেসিং মুজারাবানির নিখুঁত লাইন লেন্থে নিজেদের মেলে ধরতে সময় লাগে স্বাগতিক দলের। দুই দুজন উইকেট ফেলতে না পারলেও নবম ওভারে গিয়ে প্রথম সাফল্য পান বদলি পেসার নিয়াউচি। তার বলে খোঁচা মেরে গালিতে ব্রায়ান বেনেটের হাতে জমা পড়েন ২৩ বলে ১২ রান করা সাদমান।

নিজের পরের ওভারে উইকেটের পেছনে তিনি ক্যাচ বানান মাহমুদুল হাসান জয়কে। ডানহাতি ওপেনারের কিপারের গ্লাভসে জমা পড়ার আগে ৩৫ বলে করেন ১৪ রান। ৩২ রানে পড়ে দুই উইকেট। পরের ওভারে বিদায় হতে পারত মুমিনুলের। মুজারাবানির লাফিয়ে উঠা বল ছাড়তে গিয়ে গ্লাভসে লাগিয়েছিলেন শূন্য রানে থাকা মুমিনুল। সহজ এই ক্যাচ ছেড়ে দেন কিপার মায়াভু।

প্রথম ঘন্টার নড়বড়ে শুরু পরে সামাল দেন শান্ত-মুমিনুল। বাউন্ডারি বের করে ক্রমশ পরিস্থিতি নিজেদের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন তারা। সিলেটের আকাশে মেঘ জমায় বোলিং কন্ডিশন ছিল সহায়ক। তাতে কিছু বলে সম্ভাবনা তৈরি হলেও উইকেট ফেলতে পারেনি সফরকারীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দুই উইকেটে ৮৪ রান নিয়ে লাঞ্চ ব্রেকে যায় বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০১:৩২:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

মাহমুদুল হাসানও সাদ্দাম ইসলাম বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে খুব একটা পরিচিত নাম নয়। অথচ এরই মধ্যে ১৭ টেস্ট খেলা হয়ে গেছে মাহমুদুল হাসানের। মোট করেছেন ৭২৮ রান। সাড়া জাগানো ব্যাটিং বলতে সেই টেস্ট ডেব্যু হওয়ার এক বছর পরেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩২৬ বলে ১৩৭ রানের ইনিংস। এছাড়া রয়েছে ৪ ফিফটি। শেষ ফিফটি হাঁকিয়েছেন ষোল ইনিংস আগে। আজ জিমম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যর্থ হয়েছেন ওপেনার হিসেবে। মাত্র ১৪ রানে নিয়েছেন বিদায়। জুটিতে খেলতে নামা সাদ্দামও দেখিয়েছেন ব্যর্থতা। তার ব্যাটে ১২ রান আসতেই আউট হয়ে যান। তবে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০২১ সালে তার একটি শতক ছিলো। ২০১৮ অভিষেক হওয়া সাদ্দামের গত একুশ টেস্টে ওটিই ছিলো তার একমাত্র শতক।

অথচ আজ  জিম্বাবুয়ান পেসারদের বল সামাল দিতে গিয়ে সিলেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের এই ওপেনিং জুটিটা দ্রুতই মাঠ ছেড়েছেন। প্রথম ঘন্টায় মাত্র ৩২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই ঘরের মাঠে চাপে পড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।

অবশ্য সেখান থেকে দলীয় নেতা নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিজ্ঞ মমিনুল হকের দৃঢ়তায় লাঞ্চের ব্রেকের আগে ২৪ ওভার শেষে ৮৪ রানে পৌছে দিয়ে কিছুটা স্বস্তি ফেরান।  শান্ত ৪৩ বলে ৩০ এবং মুমিনুল ৪৬ রানে ২১ রান করেন। যদিও মুমিনুলের উপর দিয়েও একটি ঝড় বয়ে গিয়েছিলো। রানের খাতায় নাম লিখার আগেই বিদায় হতে পারতে তিনি।  ব্লেসিং মুজারাবানির বলে তার সহজ ক্যাচ ফেলে দেন কিপার নিয়াশা মায়াভু।

সিলেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ের দুই পেসার রিচার্ড এনগারাভা ও ব্লেসিং মুজারাবানির নিখুঁত লাইন লেন্থে নিজেদের মেলে ধরতে সময় লাগে স্বাগতিক দলের। দুই দুজন উইকেট ফেলতে না পারলেও নবম ওভারে গিয়ে প্রথম সাফল্য পান বদলি পেসার নিয়াউচি। তার বলে খোঁচা মেরে গালিতে ব্রায়ান বেনেটের হাতে জমা পড়েন ২৩ বলে ১২ রান করা সাদমান।

নিজের পরের ওভারে উইকেটের পেছনে তিনি ক্যাচ বানান মাহমুদুল হাসান জয়কে। ডানহাতি ওপেনারের কিপারের গ্লাভসে জমা পড়ার আগে ৩৫ বলে করেন ১৪ রান। ৩২ রানে পড়ে দুই উইকেট। পরের ওভারে বিদায় হতে পারত মুমিনুলের। মুজারাবানির লাফিয়ে উঠা বল ছাড়তে গিয়ে গ্লাভসে লাগিয়েছিলেন শূন্য রানে থাকা মুমিনুল। সহজ এই ক্যাচ ছেড়ে দেন কিপার মায়াভু।

প্রথম ঘন্টার নড়বড়ে শুরু পরে সামাল দেন শান্ত-মুমিনুল। বাউন্ডারি বের করে ক্রমশ পরিস্থিতি নিজেদের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন তারা। সিলেটের আকাশে মেঘ জমায় বোলিং কন্ডিশন ছিল সহায়ক। তাতে কিছু বলে সম্ভাবনা তৈরি হলেও উইকেট ফেলতে পারেনি সফরকারীরা।