গুমে জড়িতদের বিচারের দাবিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্মারকলিপি

- আপডেট সময় : ০১:৪৭:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
- / ৭২ বার পড়া হয়েছে
ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের শাসনামলে গত ১৬ বছরে বাংলাদেশে প্রচুর গুম ও বিচার বর্হিভূত হত্যাকান্ড ঘটেছে। জোর করে ধরে নিয়ে আয়না ঘরে রেখে চালানো হয়েছিলো নির্মম অত্যাচার। গত বছর ৫ আগেস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর বদলে যায় দেশের দৃশ্যপট। জনমনে নেমে আসে স্বস্তি। কিন্তুমন দিনগুনতে হয়েছিলো, সেই সকল অপরাধীদের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোন ধরণের শক্ত পদক্ষেপ নেয়নি। তারই প্রতিবাদে আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন গুমের শিকার পরিবারগুলোর সংগঠন ‘মায়ের ডাক’।
অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কাছে এই স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। আজ রোববার দুপুরে তারা এই স্মারকলিপি জমা দেন। এর আগে, রাজধানীর হাইকোর্ট মাজার গেটে মানববন্ধন করেন তারা।
স্মারকলিপিতে ‘মায়ের ডাক’ ছয় দফা দাবি –
‘আয়নাঘর’ ও গুম-নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন বাহিনীর অভিযুক্ত কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য এবং সরকারি কর্মকর্তাদের নামের তালিকা প্রকাশ করতে হবে এবং অবিলম্বে নিশ্চিত করতে হবে যে, এই অপরাধীরা দেশের সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়ে যেতে না পারে।
খুন, গুম ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত সব অপরাধীকে ক্যান্টনমেন্ট থেকে সরিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠাতে হবে।
অভিযুক্ত উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের পদ থেকে অপসারণ এবং তাদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু বিচারিক তদন্তের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত র্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআই, ডিবি, সিটিটিসির সব সদস্যদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
‘আয়নাঘর’ সংরক্ষণের জন্য অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যাতে প্রমাণ নষ্ট বা গোপন করা না যায়। প্রমাণ ধ্বংসে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
ভবিষ্যতে গুম, নির্যাতন ও গোপন বন্দিশালার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, তার নিশ্চয়তা দিতে হবে এবং সংবিধান ও মানবাধিকার সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় আইনি সংস্কার আনতে হবে।
গুমের শিকার পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং তাদের দায়িত্ব নিশ্চিত করতে হবে।