বিডিআর হত্যার তথ্য প্রদানকারির পরিচয় গোপন থাকবে জানালো তদন্ত কমিশন

- আপডেট সময় : ০৫:১০:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
- / ৫৭ বার পড়া হয়েছে
বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তদন্ত কার্যক্রমে সহায়ক তথ্য দিয়ে কমিশনকে সাহায্য করার জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। প্রায় ১৬ বছর আগে সংঘটিত ঘটনার তথ্য উদঘাটন জটিল হলেও কমিশন অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, যাতে করে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে সত্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়। তথ্য বাসস
কমিশন নজিরবিহীন লোমহর্ষক পিলখানা হত্যাযজ্ঞের ওই ঘটনা বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য ও সাক্ষ্য আহ্বান করেছে। যে পদ্ধতিতে তথ্য দেওয়া যাবে : ওয়েবসাইটের মাধ্যমে bdr-commission.org, ই-মেইলের মাধ্যমে: comission@bdr-commission.org। এছাড়াও কমিশনে হাজির হয়ে কিংবা কুরিয়ার ও ডাকযোগেও সহায়তা করা যাবে। ঠিকানা : বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস (বিআরআইসিএম), নতুন ভবন (৭ম তলা), ড. কুদরত-এ-খুদা সড়ক (সায়েন্স ল্যাবরেটরি রোড), ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫। কমিশনকে ঢাকার বাইরে অথবা বাংলাদেশের বাইরে অবস্থানকারী তথ্যদাতার বাসায় গিয়ে বা অন্য যেকোনো স্থান থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হলে উল্লিখিত ঠিকানায় যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
হটলাইন (সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা: ০১৭৬৯-৬০০২৮১)। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এই বিষয়ে সহায়তাকারী ব্যক্তির পরিচয়ের গোপনীয়তা বজায় রাখা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।সেভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া যাচ্ছে। আমরা ভালোভাবেই প্রস্তুতি নিতে পারছি।’
এর আগে গত ১৬ এপ্রিল রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তদন্ত কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আলম ফজলুর রহমান বলেছিলেন, ‘আমরা বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। যেহেতু ১৬ বছর আগের ঘটনা তাই অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গিয়ে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। অভিযুক্ত অনেকেই দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।’
‘আমরা কারাগারে থাকা কয়েকজনের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। তদন্তের জন্য যোগাযোগ করা প্রয়োজন এমন ২৩ জন বিদেশে অবস্থান করছেন। তার মধ্যে ৮ জন সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করেছেন,’— বলেন তিনি।
কমিশন প্রধান আরও বলেন, ‘আমরা হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের প্যাটার্নটা নিয়ে তদন্ত করছি। ডিজিকে হত্যার পর বাকিদের হত্যা করা হয়েছিল। এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পরিকল্পনা ছাড়া এমন হত্যাকাণ্ড হতে পারে না।’
‘এটা যেন একটা পলাশীর পুনরাবৃত্তি। এটার শেকড় আমাদের খুঁজে বের করতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
কমিশনের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার বলেন, ‘এমন জঘন্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একজন কর্মকর্তা/কর্মচারীকেও সরানো হয়নি। কাউকে দায়ী করা হয়নি। এটি গোয়েন্দা সংস্থা, সামরিক বাহিনী এবং রাজনৈতিক ব্যর্থতা।’
তদন্ত কমিশনকে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নৃশংসভাবে নিজেদের অফিসারদেরই তারা মেরেছিল। মসৃণভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।’
পুরো জাতি তদন্ত কমিশনের দিকে তাকিয়ে আছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সবাই উত্তর খুঁজছি। কমিশনকে এ ঘটনা তদন্তে সফল হতেই হবে। এ রহস্য উদঘাটন করতেই হবে।’