ঢাকা ০২:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

২২ মে জাতীয় স্টেডিয়াম চায় বাফুফে

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৮:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৪১ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আগামী ১০ জুন। ঘরের মাঠে তাদের প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর। তার আগেই পল্টনে অবস্থিত জাতীয় স্টেডিয়াম হস্তান্তর করার জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে (এনএসসি) সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। রোববার বাফুফে ও এনএসসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এএফসি ম্যাচ কমিশনার মিন্দু দর্জি স্টেডিয়ামটি পরিদর্শন করেছেন। দিনের বেলায় ভেন্যুটির সুযোগ-সুবিধাগুলো তিনি ঘুরে দেখেছেন। রাতে পর্যবেক্ষণ করেছেন ফ্লাডলাইট ও জায়ান্ট স্ক্রিন।

গত প্রায় ৪৪ মাস ধরে জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ চলছে। অথচ ফুটবল ইভেন্টের জন্য এই একটি মাঠই প্রধান ভেন্যু হিসেবে আছে। কিন্তু গত প্রায় চার বছর ধরে সংস্কারের কারণে এই স্টেডিয়ামে কোন খেলাই অনুষ্ঠিত হয়নি।

বাফুফে চাচ্ছে ১০জুন সিঙ্গাপুরের ম্যাচ দিয়েই জাতীয় স্টেডিয়ামের নব সূচনা করতে। আর ওই ম্যাচটি খেলতে গেলে আগে থেকেই এই মাঠের চরিত্র সম্পর্কে জানাটা জরুরী। তাই আগামী ১০ মে এর মধ্যে জাতীয় স্টেডিয়াম বুজে পাওয়ার প্রত্যাশা করছে তারা।

এদিকে মাঠটির সর্বশেষ অবস্থান দেখতে এএফসি থেকেও প্রতিনিধি দল এসেছে। পরিদর্শনের পর বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য কামরুল হাসান হিল্টন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। মিন্দুর পর্যবেক্ষণ কী কী উঠে এসেছে তা জানান তিনি, ‘এএফসি প্রতিনিধি স্টেডিয়ামের চিত্র নিয়ে সন্তুষ্ট। তবে কিছু ছোট ছোট পর্যবেক্ষণ রয়েছে তার। ম্যাচ কমিশনারের রুম, ডোপ টেস্ট রুম, ড্রেসিং রুম ইত্যাদি। তবে প্রধান সমস্যা হলো পিচ ও ফ্লাডলাইট।’

স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ শেষ করে হস্তান্তরের বিষয়ে তিনি যোগ করেন, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারাও ছিলেন এবং আমরা সবাই এএফসি কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমরা এনএসসিকে ফ্লাডলাইট ঠিক করার জন্য আগামী ১০ মে এবং পুরো মাঠ ও অন্যান্য অবকাঠামোর কাজ সম্পন্ন করার জন্য ২২ মে পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছি।’

১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত স্টেডিয়ামটি ঢাকা স্টেডিয়াম নামে পরিচিত ছিল দীর্ঘদিন। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন ক্রীড়া অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনেক প্রতিযোগিতা এই স্টেডিয়ামে হয়েছে।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর স্টেডিয়ামটির নাম বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। এরপর ১৯৯৮ সালে সেটার চূড়ান্ত অনুমোদন মেলে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ফেব্রুয়ারিতে নতুন নামকরণ করেছে জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

২২ মে জাতীয় স্টেডিয়াম চায় বাফুফে

আপডেট সময় : ০৭:৪৮:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আগামী ১০ জুন। ঘরের মাঠে তাদের প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর। তার আগেই পল্টনে অবস্থিত জাতীয় স্টেডিয়াম হস্তান্তর করার জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে (এনএসসি) সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। রোববার বাফুফে ও এনএসসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এএফসি ম্যাচ কমিশনার মিন্দু দর্জি স্টেডিয়ামটি পরিদর্শন করেছেন। দিনের বেলায় ভেন্যুটির সুযোগ-সুবিধাগুলো তিনি ঘুরে দেখেছেন। রাতে পর্যবেক্ষণ করেছেন ফ্লাডলাইট ও জায়ান্ট স্ক্রিন।

গত প্রায় ৪৪ মাস ধরে জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ চলছে। অথচ ফুটবল ইভেন্টের জন্য এই একটি মাঠই প্রধান ভেন্যু হিসেবে আছে। কিন্তু গত প্রায় চার বছর ধরে সংস্কারের কারণে এই স্টেডিয়ামে কোন খেলাই অনুষ্ঠিত হয়নি।

বাফুফে চাচ্ছে ১০জুন সিঙ্গাপুরের ম্যাচ দিয়েই জাতীয় স্টেডিয়ামের নব সূচনা করতে। আর ওই ম্যাচটি খেলতে গেলে আগে থেকেই এই মাঠের চরিত্র সম্পর্কে জানাটা জরুরী। তাই আগামী ১০ মে এর মধ্যে জাতীয় স্টেডিয়াম বুজে পাওয়ার প্রত্যাশা করছে তারা।

এদিকে মাঠটির সর্বশেষ অবস্থান দেখতে এএফসি থেকেও প্রতিনিধি দল এসেছে। পরিদর্শনের পর বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য কামরুল হাসান হিল্টন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। মিন্দুর পর্যবেক্ষণ কী কী উঠে এসেছে তা জানান তিনি, ‘এএফসি প্রতিনিধি স্টেডিয়ামের চিত্র নিয়ে সন্তুষ্ট। তবে কিছু ছোট ছোট পর্যবেক্ষণ রয়েছে তার। ম্যাচ কমিশনারের রুম, ডোপ টেস্ট রুম, ড্রেসিং রুম ইত্যাদি। তবে প্রধান সমস্যা হলো পিচ ও ফ্লাডলাইট।’

স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ শেষ করে হস্তান্তরের বিষয়ে তিনি যোগ করেন, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারাও ছিলেন এবং আমরা সবাই এএফসি কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমরা এনএসসিকে ফ্লাডলাইট ঠিক করার জন্য আগামী ১০ মে এবং পুরো মাঠ ও অন্যান্য অবকাঠামোর কাজ সম্পন্ন করার জন্য ২২ মে পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছি।’

১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত স্টেডিয়ামটি ঢাকা স্টেডিয়াম নামে পরিচিত ছিল দীর্ঘদিন। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন ক্রীড়া অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনেক প্রতিযোগিতা এই স্টেডিয়ামে হয়েছে।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর স্টেডিয়ামটির নাম বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। এরপর ১৯৯৮ সালে সেটার চূড়ান্ত অনুমোদন মেলে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ফেব্রুয়ারিতে নতুন নামকরণ করেছে জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা।