বাংলাদেশ-ভারত ফুটবল লড়াইটা সব সময় দক্ষিণ এশিয়ার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার লড়াইয়ের মতোই উত্তেজনা বিরাজমান। তবে এবারের লড়াইয়ে থাকছে ভিন্ন এক উত্তেজনা। মাঠের লড়াইয়ের আগেই বাংলাদেশের সর্বত্রে বইছে ফুটবল উত্তেজনার ঝড়। এ যেন সেই আশির দশকের ফুটবলের জোয়ারের মতো ভেসে উঠছেন ফুটবলভক্তরা।
আগামী ২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতে বিরুদ্ধে জহুরুলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে লড়বে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সমর্থকদের উত্তেজনার জোয়ারটা মূলত ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলুড়ে হামজা চৌধুরীকে ঘিরে। তিনি বাংলাদেশের জার্সিতে খেলবেন। বুধবার জাতীয় দলের ফটোসেশন করেছেন। সবার দৃষ্টি শুধু হামজাকে ঘিরেই। নতুন জার্সিতে হামজার বাংলাদেশের হয়ে নতুন অভিযান। প্রত্যাশার বারুদ যেন এখনি উপচে পড়ছে। অপেক্ষাটা যেন ফলাফলের। আর তা যদি সত্যিই জামাল ভুঁইয়ারা করে দেখাতে পারেন, তাহলে ফুটবলে আবারো ফিরবে উত্তেজনা,তাতে সন্দেহ নেই।
তবে হামজাকে পেয়ে যেমন উত্তেজনায় ভাসছেন ফুটবল ভক্তরা, তেমনি হতাশা ঝরছে আরেক ইতালি প্রবাসী ফুটবলার ফেনির সন্তান ফাহামিদুলকে স্কোয়াডে না রাখাকে ঘিরে। অথচ ১৮ বছরের ছেলেটি সৌদিতে অনুশীলন ম্যাচে চমকও দেখিয়েছেন। সৌদির একটি ক্লাবের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক গোলও করেছেন। আবার ছিলো একটি এ্যসিস্টও। তাকে বাদ দেয়ার পিছনে কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার ব্যাখ্যাতেও যেন দেখা মিলছে গড়মিল। নিজেই ভূয়সী প্রশংসা করা ছেলেটিকে অনুশীলন পরেই বাদ দিলেন কেন? এ নিয়ে সিন্ডিকেটের সন্দেহ উঠছে ফুটবলাঙ্গনে। ফুটবল ভক্তাতরা প্রতিবাদে নেমে পড়েছেন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ভবনের সামনে ফুটবলভক্তদের বিক্ষোভ,মিছিল বয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ক্রীড়া উপদেষ্টার হস্তক্ষেপেও কাজ হয়নি।
সাধারণ ভক্তদের ন্যয় সাবেক ফুটবলাররাও এমন বাদ পড়ায় সমালোচনা করেছেন। তার যখন প্রশংসাই করা হয়েছে, অনুশীলনও করানো হয়েছে, আবার অনুশীলনে সে আবার ভালো করেছে,তাকে অন্তত এভাবে বাদে দেয়াটা সমুচীন নয়। অন্তত দলের সঙ্গে রাখা যেতো।
কিন্তু কোন কিছুতেই কান পাতে নি কোচ হেভিয়েরা ক্যাবেরার। বুথবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে ফাহামিদুলের বিষয়ে প্রশ্ন করতেই কাবরেরা পরিস্কার বলে দেন, ‘না, এখন আর তার দলে ফেরার সুযোগ নেই।’ তবে ফাহামিদুলকে বাংলাদেশ ফুটবলের ভবিষ্যৎ খেলোয়াড় হিসেবে দেখছেন এই স্প্যানিশ কোচ, ‘সে প্রতিভাবান ফুটবলার। আমি তাকে দলে নেওয়ার আগেও অনেক কিছু পর্যবেক্ষণ করেছি। আমি আবারও বলছি, তার আরও সময় প্রয়োজন। ভবিষ্যতে সে জাতীয় দলে খেলার যোগ্য।’