ঢাকা ০২:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পাকিস্তান সেনানিবাসে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ১৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:২৯:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • / ৯৯ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার সেনানিবাসে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় ১৮ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন ১৩ জন বেসামরিক ও পাঁচ জন সেনাসদস্য। আজ বুধবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দায়িত্ব পালন করার সময় পাঁচ সেনা সদস্যরা বীরের মতো মৃত্যুবরণ করেছেন’। বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ১৩ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এর আগে জানানো হয়েছিল, নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।

অন্যদিকে, পাকিস্তানের বহুল প্রচারিত গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, হামলাকারী জঙ্গিদের মধ্যে ১৬ জনই নিহত হয়েছেন। আত্মঘাতী হামলায় জড়িত চার জঙ্গি গাড়ি বিস্ফোরণে আর বাকিরা সেনা কর্মকর্তাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ (আইএসপিআর)।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বান্নু ক্যান্টনমেন্টে দুইটি বিস্ফোরকভর্তি ভ্যান গাড়ি ঢুকে পড়ে। তার পরই ঘটে বিস্ফোরণ। মাগরিবের আজান ও ইফতারের সময় এই ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর সেখানে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘কাপুরুষ জঙ্গিরা পবিত্র রমজান মাসে নিরপরাধ বেসামরিক ব্যক্তিদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা কোনো ক্ষমা পাবে না।’

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বান্নু জেলায় এই হামলা হয়। এটি দেশটির সাবেক স্বশাসিত নৃগোষ্ঠীদের এলাকা সংলগ্ন। এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা এর আগে জানান, আত্মঘাতী হামলার পর ১২জন জঙ্গি সদস্য কমপাউন্ডে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন।

পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ‘বিস্ফোরণের দমকে দুইটি চার ফুট গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে অন্তত আটটি বাড়ি ক্ষতির শিকার হয়েছে।’

বিস্ফোরণে একটি মসজিদ ও আবাসিক ভবন বড় আকারে ক্ষতির শিকার হয়েছে। সেখানেই প্রাণ হারান ১৩ বেসামরিক ব্যক্তি ও আহত হন আরও ৩২ জন।হামলার দায় নিয়েছে হাফিজ গুল বাহাদুর নামের একটি সশস্ত্র সংগঠন। এই সংগঠনটি ২০০১ সাল থেকে আফগানিস্তানে ন্যাটো জোটের বিরুদ্ধে তালিবানদের যুদ্ধে সমর্থন জুগিয়ে গেছে।

সংগঠনটি এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আমাদের যোদ্ধারা একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে ঢুকে পড়ে এবং এর নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়।’

তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি হাফিজ গুল বাহাদুর।পাকিস্তানের সেনাবাহিনী গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে উল্লেখ করে, ‘আমরা নিশ্চিত, এই ঘৃণ্য হামলায় আফগান নাগরিকরা জড়িত ছিলেন’। ‘আমরা এমন প্রমাণ পেয়েছি যে আফগানিস্তান থেকেই এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে এবং সেখান থেকেই এসেছে নির্দেশনা’, যোগ করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পাকিস্তান সেনানিবাসে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ১৮

আপডেট সময় : ০৪:২৯:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার সেনানিবাসে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় ১৮ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন ১৩ জন বেসামরিক ও পাঁচ জন সেনাসদস্য। আজ বুধবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দায়িত্ব পালন করার সময় পাঁচ সেনা সদস্যরা বীরের মতো মৃত্যুবরণ করেছেন’। বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ১৩ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এর আগে জানানো হয়েছিল, নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।

অন্যদিকে, পাকিস্তানের বহুল প্রচারিত গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, হামলাকারী জঙ্গিদের মধ্যে ১৬ জনই নিহত হয়েছেন। আত্মঘাতী হামলায় জড়িত চার জঙ্গি গাড়ি বিস্ফোরণে আর বাকিরা সেনা কর্মকর্তাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ (আইএসপিআর)।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বান্নু ক্যান্টনমেন্টে দুইটি বিস্ফোরকভর্তি ভ্যান গাড়ি ঢুকে পড়ে। তার পরই ঘটে বিস্ফোরণ। মাগরিবের আজান ও ইফতারের সময় এই ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর সেখানে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘কাপুরুষ জঙ্গিরা পবিত্র রমজান মাসে নিরপরাধ বেসামরিক ব্যক্তিদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা কোনো ক্ষমা পাবে না।’

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বান্নু জেলায় এই হামলা হয়। এটি দেশটির সাবেক স্বশাসিত নৃগোষ্ঠীদের এলাকা সংলগ্ন। এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা এর আগে জানান, আত্মঘাতী হামলার পর ১২জন জঙ্গি সদস্য কমপাউন্ডে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন।

পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ‘বিস্ফোরণের দমকে দুইটি চার ফুট গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে অন্তত আটটি বাড়ি ক্ষতির শিকার হয়েছে।’

বিস্ফোরণে একটি মসজিদ ও আবাসিক ভবন বড় আকারে ক্ষতির শিকার হয়েছে। সেখানেই প্রাণ হারান ১৩ বেসামরিক ব্যক্তি ও আহত হন আরও ৩২ জন।হামলার দায় নিয়েছে হাফিজ গুল বাহাদুর নামের একটি সশস্ত্র সংগঠন। এই সংগঠনটি ২০০১ সাল থেকে আফগানিস্তানে ন্যাটো জোটের বিরুদ্ধে তালিবানদের যুদ্ধে সমর্থন জুগিয়ে গেছে।

সংগঠনটি এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আমাদের যোদ্ধারা একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে ঢুকে পড়ে এবং এর নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়।’

তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি হাফিজ গুল বাহাদুর।পাকিস্তানের সেনাবাহিনী গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে উল্লেখ করে, ‘আমরা নিশ্চিত, এই ঘৃণ্য হামলায় আফগান নাগরিকরা জড়িত ছিলেন’। ‘আমরা এমন প্রমাণ পেয়েছি যে আফগানিস্তান থেকেই এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে এবং সেখান থেকেই এসেছে নির্দেশনা’, যোগ করেন তিনি।