কোটা আন্দোলনে দেশের সরকারই পরিবর্তন হয়ে যায়। বিভিন্ন খাতে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে সর্বাধিক সুযোগ দেয়ার প্রতিবাদে ছাত্রদের আন্দোলনকে অবজ্ঞা করায় ক্ষমতা ছেড়ে বিদেশে পালাতে হয়েছিল ফ্যাসিস্ট আখ্যায়িত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। সরকার পতনের লড়াইয়ে জুলাই-আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা মারা যায়। এবার তাদেরকেই সুযোগ সুবিধা দিতে অন্তর্বর্তী সরকার স্কুল ভর্তিতে কোটার ব্যবস্থা ঘোষনা দেয় ।  কিন্তু দিনশেষে সেই কোটা আবারো দৃশ্যমান হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে অন্তর্বর্তী সরকার। অবশেষে সেখান থেকে সরে এসেছে শিক্ষা উপদেষ্টা। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ কোটার আদেশটি বাতিল করেছে শিক্ষামন্ত্রণালয়। তবে প্রতি শ্রেণিতে রাখা হয়েছে একটি অতিরিক্ত আসন।

সোমবার (৩ মার্চ) আগের আদেশ বাতিল করে নতুন আদেশ জারি করেছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব (মাধ্যমিক-১) মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার। নতুন আদেশে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে গণঅভ্যুত্থানের ফলে অনেক ছাত্র-জনতা আহত ও শহীদ হন। তাদের পরিবারের সদস্যদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে  জারীকৃত আদেশ বাতিল করে নতুন আদেশ জারি করা হলো।

আদেশ আরও বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪ এ আহত/শহিদ পরিবারের সদস্যদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লটারির মাধ্যমে ভর্তির জন্য নির্ধারিত আসন সংখ্যার অতিরিক্ত প্রতি শ্রেণিতে ১ জন করে ভর্তির জন্য আসন সংরক্ষিত থাকবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪ এ আহত/ শহীদ পরিবারের সদস্যদের আসন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র/গ্যাজেটের সত্যায়িত কপি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে এবং ভর্তির সময় মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে ইস্যুকৃত জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এ শহীদদের গেজেট যথাযথভাবে যাচাই করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪ এ আহত/ শহীদ পরিবারের সদস্যদের পাওয়া না গেলে মেধা তালিকা থেকে উক্ত আসনে ভর্তি করতে হবে। কোনো অবস্থায় আসন শূন্য রাখা যাবে না।