ঢাকা ০৫:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দেশ পরিচালনায় প্রধান ‍উপদেষ্টাকে কঠোর হওয়ার আহবান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:২০:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১০৬ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশ পরিচালনায় সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, শক্তহাতে সরকার পরিচালনা করতে। প্রধান উপদেষ্টাকে লক্ষ্য করে  মির্জা ফখরুল আরও বলেন,  ‘আপনি শক্ত হাতে আপনার সরকারকে পরিচালনা করুন। কেউ যেন আপনাকে বলতে না পারে যে আপনি পক্ষপাতিত্ব করছেন। সেটা শুনতে চাই না, কারণ আপনি একজন বিখ্যাত মানুষ। সারা বিশ্বে আপনার নাম রয়েছে। সেটার মর্যাদা রাখবেন এটাই আশা করছি।’মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে পিলখানায় শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আশা করব সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রেখে যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার যতটুকু প্রয়োজন সেটুকু শেষ করে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাবেন। সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের স্থিতিশীলতা শান্তি এবং ভবিষ্যতের জন্য সমৃদ্ধি আনবেন এটাই প্রত্যাশা করি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, বিডিআর এমন একটি সংগঠন ছিল যারা অত্যন্ত যোগ্যতার সঙ্গে সাহসিকতার সঙ্গে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতেন। বাংলাদেশের সীমান্তকে রক্ষা করার কাজটি তারা করেছেন। সেটাই ছিল তাদের কাজ। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরপরই অত্যন্ত পরিকল্পনার সঙ্গে বিদ্রোহ ঘটিয়েছে। সেদিন ৫৭ জন দেশপ্রেমিক চৌকস সেনাবাহিনীকে তারা হত্যা করেছে।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একদিন দুইদিনে তাদের প্রতি মানুষের বিদ্বেষ তৈরি হয়নি। সেই ৭২ সাল থেকে আওয়ামী লীগের প্রতি শেখ মুজিবের প্রতি ঘৃণা জন্ম হয়েছে। কারণ তারা কোনদিনই বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবাসেনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের শক্তি। সব সময় আমরা দেখেছি জাতির ক্রান্তিলগ্নে তারা এগিয়ে আসে। আমরা দেখেছি ৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যখন হামলা করেছে আক্রমণ করেছে হত্যা করেছে তখন আমাদের মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে গোটা জাতিকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন। সেদিন জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছেন। আবার আমরা দেখেছি ২৪ এ গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকৃত পক্ষে দেশপ্রেমিকের ভূমিকা পালন করেছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আসুন আমরা শপথ নেই, যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব। যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা করব। আমরা যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনব। আমরা সংগ্রাম করেছি লড়াই করেছি আরো লড়াই করব।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম ও মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত প্রমুখ বক্তব্য দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দেশ পরিচালনায় প্রধান ‍উপদেষ্টাকে কঠোর হওয়ার আহবান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০৬:২০:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশ পরিচালনায় সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, শক্তহাতে সরকার পরিচালনা করতে। প্রধান উপদেষ্টাকে লক্ষ্য করে  মির্জা ফখরুল আরও বলেন,  ‘আপনি শক্ত হাতে আপনার সরকারকে পরিচালনা করুন। কেউ যেন আপনাকে বলতে না পারে যে আপনি পক্ষপাতিত্ব করছেন। সেটা শুনতে চাই না, কারণ আপনি একজন বিখ্যাত মানুষ। সারা বিশ্বে আপনার নাম রয়েছে। সেটার মর্যাদা রাখবেন এটাই আশা করছি।’মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে পিলখানায় শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আশা করব সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রেখে যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার যতটুকু প্রয়োজন সেটুকু শেষ করে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাবেন। সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের স্থিতিশীলতা শান্তি এবং ভবিষ্যতের জন্য সমৃদ্ধি আনবেন এটাই প্রত্যাশা করি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, বিডিআর এমন একটি সংগঠন ছিল যারা অত্যন্ত যোগ্যতার সঙ্গে সাহসিকতার সঙ্গে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতেন। বাংলাদেশের সীমান্তকে রক্ষা করার কাজটি তারা করেছেন। সেটাই ছিল তাদের কাজ। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরপরই অত্যন্ত পরিকল্পনার সঙ্গে বিদ্রোহ ঘটিয়েছে। সেদিন ৫৭ জন দেশপ্রেমিক চৌকস সেনাবাহিনীকে তারা হত্যা করেছে।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একদিন দুইদিনে তাদের প্রতি মানুষের বিদ্বেষ তৈরি হয়নি। সেই ৭২ সাল থেকে আওয়ামী লীগের প্রতি শেখ মুজিবের প্রতি ঘৃণা জন্ম হয়েছে। কারণ তারা কোনদিনই বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবাসেনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের শক্তি। সব সময় আমরা দেখেছি জাতির ক্রান্তিলগ্নে তারা এগিয়ে আসে। আমরা দেখেছি ৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যখন হামলা করেছে আক্রমণ করেছে হত্যা করেছে তখন আমাদের মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে গোটা জাতিকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন। সেদিন জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছেন। আবার আমরা দেখেছি ২৪ এ গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকৃত পক্ষে দেশপ্রেমিকের ভূমিকা পালন করেছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আসুন আমরা শপথ নেই, যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব। যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা করব। আমরা যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনব। আমরা সংগ্রাম করেছি লড়াই করেছি আরো লড়াই করব।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম ও মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত প্রমুখ বক্তব্য দেন।