ঢাকা ০৬:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৮৪ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে পাকিস্তানি শাসকের বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে যারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, যাদের আত্মত্যাগে বাঙালি পেয়েছে ভাষার অধিকার। ফুল আর শ্রদ্ধায় তাদের স্মরণ করছে জাতি। ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে একুশের প্রথম প্রহরে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল হাতে জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ।

মায়ের সঙ্গে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণে শামিল হয় শিশুরাও। ভিনদেশি ভাষার আগ্রাসনে তরুণরা বাংলায় অনাগ্রহী বলে অভিযোগ প্রবীণদের।‌ আর ভাষা ব্যবহারে আরও সচেতন হওয়ার প্রতিজ্ঞা তরুণদের। আর একুশ ও একাত্তরের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় রাজনীতিবিদদের।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ৪০ মিনিটে সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পলাশী মোড়ের প্রবেশ পথ খুলে দেওয়া হয়। এরপর সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে।

এর আগে, অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি কিছুসময় নীরবে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।

এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও অন্যান্য বিচারকবৃন্দ। প্রধান বিচারপতির পর একসঙ্গে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাবৃন্দ। তারা শহীদ বেদী ত্যাগ করলে বাংলাদেশে নিয়োজিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক মিশনের সদস্যরা ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।

এরপর ফুলে ফুলে ভরে ওঠে বাঙালীর শোক আর অহঙ্কারের মিনার।

 

রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রাস্তায় নেমে আসে মানুষ। পাকিস্তানি শাসকের বুলেটের আঘাতে রক্তে ভেসে যায় রাজপথ। শহীদ হন রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা আরও অনেকে। বাংলা পায় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা।

রাষ্ট্রভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গের এই দিনটিকে ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। একুশের চেতনার প্রতীক ‘শহীদ মিনার’ এখন এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ সব মহাদেশের বহুভাষিক চেতনার স্মারক।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল

আপডেট সময় : ১১:০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে পাকিস্তানি শাসকের বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে যারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, যাদের আত্মত্যাগে বাঙালি পেয়েছে ভাষার অধিকার। ফুল আর শ্রদ্ধায় তাদের স্মরণ করছে জাতি। ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে একুশের প্রথম প্রহরে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল হাতে জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ।

মায়ের সঙ্গে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণে শামিল হয় শিশুরাও। ভিনদেশি ভাষার আগ্রাসনে তরুণরা বাংলায় অনাগ্রহী বলে অভিযোগ প্রবীণদের।‌ আর ভাষা ব্যবহারে আরও সচেতন হওয়ার প্রতিজ্ঞা তরুণদের। আর একুশ ও একাত্তরের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় রাজনীতিবিদদের।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ৪০ মিনিটে সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পলাশী মোড়ের প্রবেশ পথ খুলে দেওয়া হয়। এরপর সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে।

এর আগে, অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি কিছুসময় নীরবে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।

এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও অন্যান্য বিচারকবৃন্দ। প্রধান বিচারপতির পর একসঙ্গে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাবৃন্দ। তারা শহীদ বেদী ত্যাগ করলে বাংলাদেশে নিয়োজিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক মিশনের সদস্যরা ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।

এরপর ফুলে ফুলে ভরে ওঠে বাঙালীর শোক আর অহঙ্কারের মিনার।

 

রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রাস্তায় নেমে আসে মানুষ। পাকিস্তানি শাসকের বুলেটের আঘাতে রক্তে ভেসে যায় রাজপথ। শহীদ হন রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা আরও অনেকে। বাংলা পায় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা।

রাষ্ট্রভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গের এই দিনটিকে ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। একুশের চেতনার প্রতীক ‘শহীদ মিনার’ এখন এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ সব মহাদেশের বহুভাষিক চেতনার স্মারক।