মহাখালী অবরোধ মুক্ত, নিয়ন্ত্রণে বিজিবি

- আপডেট সময় : ০৮:১৮:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ১২৭ বার পড়া হয়েছে
দিনভর তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের অবরোধ করে মহাখালীকে অবমুক্ত করেছে বিজিবি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিজিবি সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হন।
এর আগে, বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শতাধিক শিক্ষার্থী তিতুমীর কলেজের গেট থেকে মিছিল নিয়ে মহাখালী পৌঁছান। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সড়ক অবরোধের পর তারা রেললাইনও বন্ধ করে দেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ের আহ্বান জানান। আন্দোলনে অংশ নেয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি। গতকালের ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ রেলপথ ও সড়কপথ অবরোধ করেছি।”
অবরোধের ফলে জাহাঙ্গীর গেট থেকে মহাখালী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এছাড়া, কমলাপুর থেকে আসা উপকূল ট্রেনটি আটকা পড়ে। একই দাবিতে গত ১৮ নভেম্বরের পর দ্বিতীয়বার মহাখালীতে রেললাইন অবরোধের ঘটনা ছিল তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের ।
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে গত পাঁচদিন ধরে এই কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছে। তবে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের বিষয়ে পূর্ব গঠিত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে সরকার। কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের অযৌক্তিক দাবির কাছে নতি স্বীকার করা হবে না বলেও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্রগুলো জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের পুঁজি করে আন্দোলনের মাঠ গরম করার পাঁয়তারা করছে ফ্যাসিবাদি আওয়ামী লীগ। বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে সরকারকে নিশ্চিত করা হয়েছে, এই আন্দোলনের পেছনে আওয়ামী লীগের ইন্ধন রয়েছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তত ১২ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, সোমবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একুশে বইমেলা ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং তার কারণে জনজীবন বিঘ্নিত হওয়ার বিষয়টি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়। এরপর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরকে ডেকে আনা হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়— তিতুমীর কলেজের পরিস্থিতি আরও পর্যালোচনা করার পর অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।