ঢাকা ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবিতে মাঠে নামছে সমমনারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:১২:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১৪১ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপের দাবিতে মাঠে নামছে সমমনা দল ও জোটগুলো। যদিও এই দাবিতে সমমনারা কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। তবে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে সভা-সমাবেশের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তাদের উদ্দেশ্য গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে চাপ সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের পথে রাখা। 

সম্প্রতি সমমনা দল ও জোট নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেছে বিএনপি। বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনই ছিল প্রধান ইস্যু। দ্রুততম সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। একই সঙ্গে ন্যূনতম সংস্কার শেষে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করারও দাবি নেতাদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে মানববন্ধন, সেমিনার, এমনকি পদযাত্রাও হতে পারে। এই কর্মসূচিগুলো বিভাগীয় পর্যায়ে পালন করার কথা ভাবছে সমমনারা। জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্যই এই কর্মসূচি দেওয়া হবে। এই দাবিগুলো জনগণের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্যই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এদিকে সমমনা জোট এবং দলের অনেক নেতাদের আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে আসনভিত্তিক জোট নেতাদের সহযোগিতা করতে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীকে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে দলটি। সমমনা নেতাকে জনসংযোগ এবং তার দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে সহায়তা করতে নির্বাচনি আসনের থানা, উপজেলা, পৌরসভার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ওই চিঠির অনুলিপি জোটের সংশ্লিষ্ট শীর্ষ নেতাদেরও দিয়েছে দলটি।

একটি সূত্র জানায়, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হতে পরে-এমন বার্তা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপির সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো। এরই মধ্যে নির্বাচনি দলগুলোর শীর্ষ নেতারা নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন। ভোটারের আস্থা অর্জনে জনসম্পৃক্ত কর্মসূচির পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন তারা। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতিও।

সমমনা দলগুলোর এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে কর্মসূচি চালিয়ে যেতে বলেছে বিএনপি। সমমনা দলগুলোর মত করে কর্মচারী চালিয়ে যেতে বলেছে। এছাড়া একই দাবিতে বিএনপিও কর্মসূচি পালন করবে। আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করবো এখানে বিএনপি নেতারা অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ঢাকা মেইলকে বলেন, বিএনপির সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিএনপির সঙ্গে আমাদের পূর্ব থেকেই ভালো বোঝাপড়া রয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন এবং দেশের সার্বিক বিষয় গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।

নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, সদিচ্ছা থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন দেওয়া সম্ভব। অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না। সরকার ও দেশের জন্য এটা ঝুঁকিপূর্ণ। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। আগামী ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে কমিশন নির্বাচনের জন্য শতভাগ তৈরি হয়ে যেতে পারবে। তাহলে আগামী ৫-৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব। এখন বাকিটা নির্ভর করছে সরকারের ওপর। তারা চাইলে জুলাই-আগস্টে নির্বাচন করা অসম্ভব নয়।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমরা মনে করি প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন হওয়া উচিত। জনগণের নির্বাচিত সরকার ছাড়া সংকট সমাধানের কোনো বিকল্প নেই। একটি অনির্বাচিত সরকার বেশিদিন দেশ চালাতে পারবে না, এছাড়া চালানো উচিতও নয়। তাহলে নতুন নতুন সংকটের সৃষ্টি হবে। এসব নিয়ে বিএনপির সাথে আলোচনা হয়েছে। বিএনপিকে আহ্বান জানিয়েছি নির্বাচনকে দ্রুত করার জন্য যদি গণকর্মসূচি দেওয়া হয়; সেই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচি বলে আমরা কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করব।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি এই বছরের মধ্যেই নির্বাচন হওয়া উচিত। নির্বাচনের ব্যাপারে যদি কোনো গড়িমসি করে অথবা নির্বাচনের ব্যাপারে যদি কোনো সিদ্ধান্ত না আসে তাহলে দাবি আদায়ের জন্য মাঠে নামতেই হবে। জনমত সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আমাদেরকে জনগণের কাছে যেতেই হবে।

সেই আন্দোলনটা কেমন হবে জানতে চাইলে বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান বলেন, সেটা মিছিল, মিটিং, পদযাত্রা, মানববন্ধন এ ধরনের কর্মসূচি হতে পারে। এই কর্মসূচি সারাদেশে পালন করার বিষয়ে পরিকল্পনা রয়েছে। মনে হয় না তেমন করতে হবে, কারণ সরকার ইতোমধ্যে উপলব্ধি করতে পারছে। যত দ্রুত নির্বাচন দিতে পারবে ততই সংকটের সমাধান হবে এটা তারাও মনে করছে।

১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, বিএনপির সঙ্গে আমাদের যে বৈঠক হয়েছে এখানে মূলত আমাদের মতামত জানতে চেয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এ ছাড়া দেশটা এখন খুব একটা ভালো চলছে না। এই সরকার আমাদের আন্দোলনের ফসল, আমরা খুব একটা সরকারের বিপক্ষে যেতেও পারবো না। কিন্তু এদেরকে আমরা বুঝাতে চাই বলতে চাই যে তোমরা সঠিক পথে এসো। মানুষ যে দীর্ঘদিন ভোট দিতে পারেনি, মানুষ চেয়েছে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে একটি নির্বাচন ব্যবস্থা করবে। রাজনৈতিক সরকার এসে অন্যান্য সংস্কার প্রস্তাবগুলো ক্রমে ক্রমে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করবে। এ বিষয়গুলো বিএনপির সঙ্গে আমাদের একই মত রয়েছে।

তিনি বলেন, ১২ দলীয় জোট মনে করে ডিসেম্বরের মধ্যে নয়, জুনের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব। স্থানীয় সরকার যদি জুনে দেওয়ার ইচ্ছে পোষণ করে তাহলে কেন জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবিতে মাঠে নামছে সমমনারা

আপডেট সময় : ০১:১২:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপের দাবিতে মাঠে নামছে সমমনা দল ও জোটগুলো। যদিও এই দাবিতে সমমনারা কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। তবে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে সভা-সমাবেশের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তাদের উদ্দেশ্য গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে চাপ সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের পথে রাখা। 

সম্প্রতি সমমনা দল ও জোট নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেছে বিএনপি। বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনই ছিল প্রধান ইস্যু। দ্রুততম সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। একই সঙ্গে ন্যূনতম সংস্কার শেষে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করারও দাবি নেতাদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে মানববন্ধন, সেমিনার, এমনকি পদযাত্রাও হতে পারে। এই কর্মসূচিগুলো বিভাগীয় পর্যায়ে পালন করার কথা ভাবছে সমমনারা। জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্যই এই কর্মসূচি দেওয়া হবে। এই দাবিগুলো জনগণের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্যই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এদিকে সমমনা জোট এবং দলের অনেক নেতাদের আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে আসনভিত্তিক জোট নেতাদের সহযোগিতা করতে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীকে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে দলটি। সমমনা নেতাকে জনসংযোগ এবং তার দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে সহায়তা করতে নির্বাচনি আসনের থানা, উপজেলা, পৌরসভার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ওই চিঠির অনুলিপি জোটের সংশ্লিষ্ট শীর্ষ নেতাদেরও দিয়েছে দলটি।

একটি সূত্র জানায়, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হতে পরে-এমন বার্তা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপির সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো। এরই মধ্যে নির্বাচনি দলগুলোর শীর্ষ নেতারা নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন। ভোটারের আস্থা অর্জনে জনসম্পৃক্ত কর্মসূচির পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন তারা। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতিও।

সমমনা দলগুলোর এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে কর্মসূচি চালিয়ে যেতে বলেছে বিএনপি। সমমনা দলগুলোর মত করে কর্মচারী চালিয়ে যেতে বলেছে। এছাড়া একই দাবিতে বিএনপিও কর্মসূচি পালন করবে। আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করবো এখানে বিএনপি নেতারা অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ঢাকা মেইলকে বলেন, বিএনপির সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিএনপির সঙ্গে আমাদের পূর্ব থেকেই ভালো বোঝাপড়া রয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন এবং দেশের সার্বিক বিষয় গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।

নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, সদিচ্ছা থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন দেওয়া সম্ভব। অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না। সরকার ও দেশের জন্য এটা ঝুঁকিপূর্ণ। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। আগামী ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে কমিশন নির্বাচনের জন্য শতভাগ তৈরি হয়ে যেতে পারবে। তাহলে আগামী ৫-৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব। এখন বাকিটা নির্ভর করছে সরকারের ওপর। তারা চাইলে জুলাই-আগস্টে নির্বাচন করা অসম্ভব নয়।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমরা মনে করি প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন হওয়া উচিত। জনগণের নির্বাচিত সরকার ছাড়া সংকট সমাধানের কোনো বিকল্প নেই। একটি অনির্বাচিত সরকার বেশিদিন দেশ চালাতে পারবে না, এছাড়া চালানো উচিতও নয়। তাহলে নতুন নতুন সংকটের সৃষ্টি হবে। এসব নিয়ে বিএনপির সাথে আলোচনা হয়েছে। বিএনপিকে আহ্বান জানিয়েছি নির্বাচনকে দ্রুত করার জন্য যদি গণকর্মসূচি দেওয়া হয়; সেই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচি বলে আমরা কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করব।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি এই বছরের মধ্যেই নির্বাচন হওয়া উচিত। নির্বাচনের ব্যাপারে যদি কোনো গড়িমসি করে অথবা নির্বাচনের ব্যাপারে যদি কোনো সিদ্ধান্ত না আসে তাহলে দাবি আদায়ের জন্য মাঠে নামতেই হবে। জনমত সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আমাদেরকে জনগণের কাছে যেতেই হবে।

সেই আন্দোলনটা কেমন হবে জানতে চাইলে বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান বলেন, সেটা মিছিল, মিটিং, পদযাত্রা, মানববন্ধন এ ধরনের কর্মসূচি হতে পারে। এই কর্মসূচি সারাদেশে পালন করার বিষয়ে পরিকল্পনা রয়েছে। মনে হয় না তেমন করতে হবে, কারণ সরকার ইতোমধ্যে উপলব্ধি করতে পারছে। যত দ্রুত নির্বাচন দিতে পারবে ততই সংকটের সমাধান হবে এটা তারাও মনে করছে।

১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, বিএনপির সঙ্গে আমাদের যে বৈঠক হয়েছে এখানে মূলত আমাদের মতামত জানতে চেয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এ ছাড়া দেশটা এখন খুব একটা ভালো চলছে না। এই সরকার আমাদের আন্দোলনের ফসল, আমরা খুব একটা সরকারের বিপক্ষে যেতেও পারবো না। কিন্তু এদেরকে আমরা বুঝাতে চাই বলতে চাই যে তোমরা সঠিক পথে এসো। মানুষ যে দীর্ঘদিন ভোট দিতে পারেনি, মানুষ চেয়েছে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে একটি নির্বাচন ব্যবস্থা করবে। রাজনৈতিক সরকার এসে অন্যান্য সংস্কার প্রস্তাবগুলো ক্রমে ক্রমে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করবে। এ বিষয়গুলো বিএনপির সঙ্গে আমাদের একই মত রয়েছে।

তিনি বলেন, ১২ দলীয় জোট মনে করে ডিসেম্বরের মধ্যে নয়, জুনের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব। স্থানীয় সরকার যদি জুনে দেওয়ার ইচ্ছে পোষণ করে তাহলে কেন জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করবেন।