রাতের ভোটের সঙ্গে জড়িতদের খোঁজে নামছে দুদক

- আপডেট সময় : ০৮:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
- / ১২১ বার পড়া হয়েছে
২০১৮ সালের নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে হওয়ার পিছনে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, দূর্নীতি ও অর্থ লেনদেনের সাথে যারা জড়িত ছিলেন তাদের খোঁজে মাঠে নামছে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই অনুসন্ধানের তালিকায় থাকছে তৎকালীন নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকারী প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া, রাতের ভোটের নির্দেশ দাতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করা হবে।
গতকাল বুধবার কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
দুদকের মুখপাত্র ও মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে দুদকে অভিযোগ এসেছে। অভিযোগটির বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ‘রাতের ভোট’ হিসেবে আলোচিত নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ জড়িত সবার বিরুদ্ধেই অনুসন্ধান করা হবে। রাতের ভোটে অর্থ লেনদেন, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুদকের একজন পরিচালকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। টিমের সদস্যরা অভিযোগের বিষয়ে বিভিন্ন ভিডিও, দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের প্রচারিত সংবাদ এবং নির্বাচনের ফলাফল সিট পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় সব তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।’
দুদক সূত্র জানা গেছে, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়ম বলতে- দিনের ভোট রাতে করা, ব্যালট জালিয়াতি, কিছু কেন্দ্রে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট দেখানোর ক্ষেত্রে ব্যাপক আর্থিক লেনদেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে নির্দেশিত প্রার্থীকে জেতানোসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে দুদকে অভিযোগ জমা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে দেশের প্রতিটি মহানগর, জেলা, বিভাগ, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে রাতের ভোটের মাধ্যমে নির্দেশিত প্রার্থীকে জেতানোর ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া, সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে তৎকালীন আইজিপি জাভেদ পাটোয়ারী, ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, র্যাবের প্রধান বেনজির আহমেদ, প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিকি, জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, সব জেলা প্রশাসক, জেলা রিটানিং কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিইজি, পুলিশ সুপার, থানার অফিসার ইনচার্জ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা পরস্পর যোগসাজশে নিজেদের আর্থিক লাভের জন্য ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাতের ভোটের আয়োজন করে নির্দেশিত প্রার্থীকে সংসদ পদে জিতিয়েছেন।