সরকার ও আদালতের উপর নির্ভর করছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়া : সিইস

- আপডেট সময় : ১০:০৭:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ১২৫ বার পড়া হয়েছে
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তথা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। সে থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দাবি করা আওয়ামী লীগ দলটির রাজনৈতি ভবিষ্যত এখন অন্ধকারে।
হাজার হাজার ছাত্র-জনতার বুকের তাজা রক্ত ঝরিয়ে দলটি ক্ষমতায় টিকে থাকার যে অকৌশল করেছিলো,কিন্তু পারেনি। দাম্ভিকতা নিয়ে দেশের প্রধান পদে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী কোন বার্তা না জানিয়েই বিদায় নিয়েছে। বিপদে পড়ে যায় ইতিহাস সমৃদ্ধ অত্যন্ত পুরানো এই দলের রাজনীতি ভবিষ্যত। শেখ হাসিনার বিদায়ের পর দলটির কর্মকান্ড এখনো জনগনের সামনে আসতে পারেনি। দূর্নীতি, অনিয়মের অভিযোগ মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দলের তৃণমূল থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতারা।
অন্তর্বর্তী সরকারের সময় দলটির পক্ষ থেকে কয়েকবার রাস্তায় আন্দোলনে নামার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। বর্তমানে গুপ্ত পরিকল্পনা চললেও দৃশ্যমান কিছু নেই। আর তাই আগামী নির্বাচনে দলটির উপস্থিতি নিয়ে উঠেছে বড় প্রশ্ন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফেরার পথে বড় প্রতিবন্ধীকতা দেখা হচ্ছে-দলটি ক্ষমতায় থাকাকালীণ জনগন ছিলো অনিরাপদ। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে অসম নানা চুক্তিসহ হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ। তাদের দূর্নীতির কারণে আওয়ামী সমর্থকদেরও মুখ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
তাই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশ গ্রহন নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সামনে উঠে আসা এমন প্রশ্ন। আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নিয়ে উঠে আসা প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনারের মতে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়া নির্ভর করছে সরকার এবং আদালতে উপর। তিনি বলেছেন,সরকার বা আদালত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করলে দলটির নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা নেই।
গতকাল সোমবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ‘ ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন এখন সম্পূর্ণ স্বাধীন উল্লেখ করে সিইসি বলেন,‘গত তিনটি নির্বাচনে যা হয়েছে তা সবাই দেখেছেন। এবার নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। দেশের ভেতরে বা বাইরে থেকে কোনো চাপ নেই। তাই, কমিশন সবার কাছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।’