ঢাকা ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নবায়নযোগ্য শক্তি স্থাপন করা গেলে বিদ্যুতের ঘাটতি হবে না বললেন ফাওজুল কবীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:৫২:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
  • / ১৮৩ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক, পরিবহণ, সেতু ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবীর খান বলেছেন নবায়নযোগ্য শক্তি স্থাপনা করা গেলে বিদ্যুতের ঘাটতি হবে না। তিনি বলেছেন, নবায়নযোগ্য শক্তি একটা খুব জোরের একটা জায়গা। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ৩০-৪০টা নবায়নযোগ্য শক্তির প্রকল্পের টেন্ডার আহ্বান করা হবে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে নীলফামারীর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদর দফতরের বোর্ড সভাকক্ষে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উত্তরাঞ্চলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমরা বছরে ৬ হাজার কোটি টাকার এলএনজি আমদানি করি। এজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি নবায়নযোগ্য শক্তি স্থাপন করার। এছাড়াও এখন যেসব প্রকল্প হবে সেসব প্রকল্পের ফাঁকা জায়গায় বা ছাদে সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন করা যায় তাহলে সেখানে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বাড়তি বিদ্যুৎ সেচ বা অন্যান্য কাজের জন্য ব্যবহার করা যাবে। সূর্যের আলোকে কেনা লাগে না। বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে গ্যাস, কয়লা কিনতে হয়। রংপুর বিভাগের যেকয়টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আছে তাদের কাছে চাইব আপনারা ২০০ মেগাওয়াটের নবায়নযোগ্য শক্তির প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করেন। তাহলে দেখবেন যে কারও ওপরে নির্ভর করতে হবে না।

রেলের জমি অবৈধ দখলে যাওয়া নিয়ে উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবীর খান বলেন, সারাদেশে রেলের জমি যে অবৈধ দখল আছে এটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। যদি এখানে না হয়ে থাকে তাহলে শিগগিরই ব্যবস্থা নেব। সরকারি জমি জোরজবরদস্তি করে দখল করা এখন সম্ভব না। একসময় হয়তো জোর জবরদস্তি করে দখল করা যেত। এগুলোর কিছু আদালতে মামলাও রয়েছে। আমরা এসব বেকেট করার চেষ্টা করতেছি। বেশ কিছুটা জমি রেলের মালিকানায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পেরেছি। রেলের জমি দখল রুখতে আরও একটা কাজ করা যেতে পারে জমিটাকে ব্যবহার করা যায়। যেমনটা সোলার স্থাপন করা করা হলে তো আর কেউ দখল করতে পারবে না। কিংবা অন্য কোনো ব্যবহারযোগ্য কোনো কিছু বের করা যায় তাহলে তো কেউ জমি দখল করতে পারবে না। যেকোনো জমি দখলে রাখতে হয়।

কুইক রেন্টাল সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা ২০১০ সালের আইন। দ্রুত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের আইন ছিল এটি। এই আইনকে দিয়েই এসব জিনিস জায়েজ করা হয়েছে। এই আইনটা আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। আদালত প্রতিযোগিতা ছাড়া বিদ্যুৎ জ্বালানি কেনা থেকে বাতিল এবং আদালতে যাওয়া যাবে না। এই দুটি ধারা বাতিল করেছে। এছাড়াও গত বুধবারে এই আইন থেকে পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। আদালত থেকে আদেশটা এমন আসছে যে প্রকল্প চলমান তা বন্ধ করা যাবে না। যেমনটা বিদ্যুৎ তো বন্ধ করা যাবে না। সেজন্য আদালত বলেছে এটা মাফ করে দিলাম। সরকার যদি প্রয়োজন মনে করে এটা পূর্ণ পরীক্ষা করতে পারবে। এটাতে যদি কোনো দুর্নীতি অনিয়ম হয়ে থাকে তা দেখা হবে। মনে রাখতে হবে এগুলো একটা চুক্তি। চুক্তি বাতিল করতে গেলে আদালতে যেতে হবে। এসব চুক্তি দেশি-বিদেশি আইনজীবীদের দিয়ে পরীক্ষা করানো হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নবায়নযোগ্য শক্তি স্থাপন করা গেলে বিদ্যুতের ঘাটতি হবে না বললেন ফাওজুল কবীর

আপডেট সময় : ০৯:৫২:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক, পরিবহণ, সেতু ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবীর খান বলেছেন নবায়নযোগ্য শক্তি স্থাপনা করা গেলে বিদ্যুতের ঘাটতি হবে না। তিনি বলেছেন, নবায়নযোগ্য শক্তি একটা খুব জোরের একটা জায়গা। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ৩০-৪০টা নবায়নযোগ্য শক্তির প্রকল্পের টেন্ডার আহ্বান করা হবে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে নীলফামারীর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদর দফতরের বোর্ড সভাকক্ষে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উত্তরাঞ্চলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমরা বছরে ৬ হাজার কোটি টাকার এলএনজি আমদানি করি। এজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি নবায়নযোগ্য শক্তি স্থাপন করার। এছাড়াও এখন যেসব প্রকল্প হবে সেসব প্রকল্পের ফাঁকা জায়গায় বা ছাদে সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন করা যায় তাহলে সেখানে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বাড়তি বিদ্যুৎ সেচ বা অন্যান্য কাজের জন্য ব্যবহার করা যাবে। সূর্যের আলোকে কেনা লাগে না। বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে গ্যাস, কয়লা কিনতে হয়। রংপুর বিভাগের যেকয়টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আছে তাদের কাছে চাইব আপনারা ২০০ মেগাওয়াটের নবায়নযোগ্য শক্তির প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করেন। তাহলে দেখবেন যে কারও ওপরে নির্ভর করতে হবে না।

রেলের জমি অবৈধ দখলে যাওয়া নিয়ে উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবীর খান বলেন, সারাদেশে রেলের জমি যে অবৈধ দখল আছে এটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। যদি এখানে না হয়ে থাকে তাহলে শিগগিরই ব্যবস্থা নেব। সরকারি জমি জোরজবরদস্তি করে দখল করা এখন সম্ভব না। একসময় হয়তো জোর জবরদস্তি করে দখল করা যেত। এগুলোর কিছু আদালতে মামলাও রয়েছে। আমরা এসব বেকেট করার চেষ্টা করতেছি। বেশ কিছুটা জমি রেলের মালিকানায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পেরেছি। রেলের জমি দখল রুখতে আরও একটা কাজ করা যেতে পারে জমিটাকে ব্যবহার করা যায়। যেমনটা সোলার স্থাপন করা করা হলে তো আর কেউ দখল করতে পারবে না। কিংবা অন্য কোনো ব্যবহারযোগ্য কোনো কিছু বের করা যায় তাহলে তো কেউ জমি দখল করতে পারবে না। যেকোনো জমি দখলে রাখতে হয়।

কুইক রেন্টাল সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা ২০১০ সালের আইন। দ্রুত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের আইন ছিল এটি। এই আইনকে দিয়েই এসব জিনিস জায়েজ করা হয়েছে। এই আইনটা আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। আদালত প্রতিযোগিতা ছাড়া বিদ্যুৎ জ্বালানি কেনা থেকে বাতিল এবং আদালতে যাওয়া যাবে না। এই দুটি ধারা বাতিল করেছে। এছাড়াও গত বুধবারে এই আইন থেকে পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। আদালত থেকে আদেশটা এমন আসছে যে প্রকল্প চলমান তা বন্ধ করা যাবে না। যেমনটা বিদ্যুৎ তো বন্ধ করা যাবে না। সেজন্য আদালত বলেছে এটা মাফ করে দিলাম। সরকার যদি প্রয়োজন মনে করে এটা পূর্ণ পরীক্ষা করতে পারবে। এটাতে যদি কোনো দুর্নীতি অনিয়ম হয়ে থাকে তা দেখা হবে। মনে রাখতে হবে এগুলো একটা চুক্তি। চুক্তি বাতিল করতে গেলে আদালতে যেতে হবে। এসব চুক্তি দেশি-বিদেশি আইনজীবীদের দিয়ে পরীক্ষা করানো হচ্ছে।