ঢাকা ১০:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

অবাধ,সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চান নবনিযুক্ত সিইসি আ ম ম নাসির উদ্দীন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৬:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
  • / ২৫৮ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আ ম ম নাসির উদ্দীন বলেছেন তিনি জাতিকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চান। তিনি বলেন, ‘মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমি একটা ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই জাতিকে। এর জন্য কী কী করতে হবে সেটা আমি বোঝার চেষ্টা করব। কোন কোন জায়গায় হাত দিতে হবে আমি সেই কাজটা করব।’ আজ বৃহস্পতিবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সিইসি নাসির উদ্দীন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি সৌভাগ্যবান যে বদিউল আলমের মতো একজন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে একটা রিফর্ম কমিশন কাজ করছে। সুতরাং, অসুবিধা হবে না সমস্যাগুলো বুঝতে। যেখানে যেখানে লুপহোলস থাকবে, সেগুলো ফ্ল্যাগস দিয়ে বন্ধ করাই হবে আমার কাজ।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তিনি কী কী ব্যবস্থা নেবেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নেব, যেখানে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যাকে ইচ্ছে তাকে ভোট দিতে পারবে। সেই ব্যবস্থা আমি করব। সেটাই আমার কমিটমেন্ট এবং চেষ্টা হবে।’ অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

এর আগে আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে আরও চার কমিশনারকে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনাররা হলেন-অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব বেগম তহমিদা আহমদ ও সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।

নতুন সিইসি বলেন, ‘এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা দায়িত্ব। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে দায়িত্বটা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছে। মানুষের যে আত্মত্যাগ ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ গত তিনটা ইলেকশনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি।’
‘এই অধিকার প্রতিষ্ঠার যে গুরুদায়িত্ব সেটা কাঁধে নিয়েই আমি আগাব। আগের নির্বাচনগুলো থেকে আমি একটা আমি একটা শিক্ষা পেয়েছি। সেটা থেকে শিক্ষা নিয়ে সেরকম নির্বাচন যেন না হয় সেরকম ব্যবস্থা নেব,’ যোগ করেন তিনি।

এর আগে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে যোগ্য ব্যক্তি খুঁজতে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।
নতুন সিইসি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন। তিনি ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে অবসরে যান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অবাধ,সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চান নবনিযুক্ত সিইসি আ ম ম নাসির উদ্দীন

আপডেট সময় : ০৭:৪৬:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আ ম ম নাসির উদ্দীন বলেছেন তিনি জাতিকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চান। তিনি বলেন, ‘মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমি একটা ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই জাতিকে। এর জন্য কী কী করতে হবে সেটা আমি বোঝার চেষ্টা করব। কোন কোন জায়গায় হাত দিতে হবে আমি সেই কাজটা করব।’ আজ বৃহস্পতিবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সিইসি নাসির উদ্দীন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি সৌভাগ্যবান যে বদিউল আলমের মতো একজন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে একটা রিফর্ম কমিশন কাজ করছে। সুতরাং, অসুবিধা হবে না সমস্যাগুলো বুঝতে। যেখানে যেখানে লুপহোলস থাকবে, সেগুলো ফ্ল্যাগস দিয়ে বন্ধ করাই হবে আমার কাজ।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তিনি কী কী ব্যবস্থা নেবেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নেব, যেখানে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যাকে ইচ্ছে তাকে ভোট দিতে পারবে। সেই ব্যবস্থা আমি করব। সেটাই আমার কমিটমেন্ট এবং চেষ্টা হবে।’ অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

এর আগে আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে আরও চার কমিশনারকে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনাররা হলেন-অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব বেগম তহমিদা আহমদ ও সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।

নতুন সিইসি বলেন, ‘এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা দায়িত্ব। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে দায়িত্বটা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছে। মানুষের যে আত্মত্যাগ ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ গত তিনটা ইলেকশনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি।’
‘এই অধিকার প্রতিষ্ঠার যে গুরুদায়িত্ব সেটা কাঁধে নিয়েই আমি আগাব। আগের নির্বাচনগুলো থেকে আমি একটা আমি একটা শিক্ষা পেয়েছি। সেটা থেকে শিক্ষা নিয়ে সেরকম নির্বাচন যেন না হয় সেরকম ব্যবস্থা নেব,’ যোগ করেন তিনি।

এর আগে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে যোগ্য ব্যক্তি খুঁজতে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।
নতুন সিইসি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন। তিনি ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে অবসরে যান।