ঢাকা ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

যে কারণে ইন্দোনেশিয়ায় আইফোন ১৬ নিষিদ্ধ

ডিডিএম প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৭:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১৩৫ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পূরণ না করায় ইন্দোনেশিয়ায় ইন্দোনেশিয়ায় আইফোন ১৬ নিষিদ্ধ করেছে। ইকোনোমিক টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অ্যাপল শর্ত পূরণ না করায় আনুষ্ঠানিকভাবে আইফোন ১৬ ও অ্যাপলের নতুন সকল পণ্য নিষিদ্ধ করেছে ।

ইন্দোনেশিয়ার আইন অনুযায়ী, সেদেশে কোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মোট ক্রয় বাজেটের ৪০ শতাংশ স্থানীয় পণ্য বা সেবায় ব্যয় করতে হবে।

আইন মানতে ইন্দোনেশিয়ায় মোট ১০৯ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল অ্যাপল। ৪০ শতাংশ কোটা পূরণে ইন্দোনেশিয়ায় ‘অ্যাপল একাডেমি’ নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। প্রতিশ্রুত এআই ফিচার ছাড়াই বাজারে আইফোন ১৬, কমেছে চাহিদা-অ্যাপলের শেয়ারের দাম। কিন্তু ইন্দোনেশিয়া সরকারের মতে, অ্যাপল সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। ১০৯ মিলিয়নের জায়গায় ৯৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় অর্থনীতিতে। এর জবাবে অ্যাপলের পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আইফোন ১৬, অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ১০-এর মতো এই কোম্পানির সকল নতুন পণ্যকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার শিল্প মন্ত্রণালয় আইফোনের ইএমইআই সার্টিফিকেট আটকে দিয়েছে। যার মানে আইনিভাবে কেউ সেদেশে নতুন আইফোন ব্যবহার করতে পারবে না। কারো হাতে আইফোন ১৬ দেখা গেলে সেটা কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে।

গত সেপ্টেম্বরে আইফোন ১৬ বাজারে আনে অ্যাপল। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত এই ফোনের প্রায় নয় হাজার সেট ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশ করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

যে কারণে ইন্দোনেশিয়ায় আইফোন ১৬ নিষিদ্ধ

আপডেট সময় : ০৯:৪৭:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পূরণ না করায় ইন্দোনেশিয়ায় ইন্দোনেশিয়ায় আইফোন ১৬ নিষিদ্ধ করেছে। ইকোনোমিক টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অ্যাপল শর্ত পূরণ না করায় আনুষ্ঠানিকভাবে আইফোন ১৬ ও অ্যাপলের নতুন সকল পণ্য নিষিদ্ধ করেছে ।

ইন্দোনেশিয়ার আইন অনুযায়ী, সেদেশে কোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মোট ক্রয় বাজেটের ৪০ শতাংশ স্থানীয় পণ্য বা সেবায় ব্যয় করতে হবে।

আইন মানতে ইন্দোনেশিয়ায় মোট ১০৯ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল অ্যাপল। ৪০ শতাংশ কোটা পূরণে ইন্দোনেশিয়ায় ‘অ্যাপল একাডেমি’ নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। প্রতিশ্রুত এআই ফিচার ছাড়াই বাজারে আইফোন ১৬, কমেছে চাহিদা-অ্যাপলের শেয়ারের দাম। কিন্তু ইন্দোনেশিয়া সরকারের মতে, অ্যাপল সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। ১০৯ মিলিয়নের জায়গায় ৯৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় অর্থনীতিতে। এর জবাবে অ্যাপলের পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আইফোন ১৬, অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ১০-এর মতো এই কোম্পানির সকল নতুন পণ্যকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার শিল্প মন্ত্রণালয় আইফোনের ইএমইআই সার্টিফিকেট আটকে দিয়েছে। যার মানে আইনিভাবে কেউ সেদেশে নতুন আইফোন ব্যবহার করতে পারবে না। কারো হাতে আইফোন ১৬ দেখা গেলে সেটা কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে।

গত সেপ্টেম্বরে আইফোন ১৬ বাজারে আনে অ্যাপল। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত এই ফোনের প্রায় নয় হাজার সেট ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশ করেছে।