তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে ফখরুলের রিভিউ আবেদন

- আপডেট সময় : ০৯:২৫:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
- / ১৭৭ বার পড়া হয়েছে
ডিডিএম প্রতিবেদক :
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে বিএনপির পক্ষ থেকে রিভিউ দায়ের করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিভিউ দায়ের করেন তিনি। একই সঙ্গে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও মোহাম্মদ শিশির মনির।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১টায় সুপ্রিম কোর্ট বার অডিটোরিয়ামে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি জয়নাল আবেদীন এর বিস্তারিত জানাবেন। এর আগে গত ২৫ আগস্ট পাঁচজন বিশিষ্ট নাগরিকও রিভিউ চেয়ে আবেদন করেছিলেন।
এর আগে ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কিত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে আপিল বিভাগ। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয়জন বিচারপতির বেঞ্চ ওই রায় ঘোষণা করে।
উল্লেখ্য, সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ এ রিট খারিজ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।
এ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সলিমউল্লাহসহ অন্যরা ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় দেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে আপিল করে রিট আবেদনকারীপক্ষ। এ আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।
ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।
আপিল বিভাগের সে রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করার জন্য সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি এ আবেদন করেন।
অন্য চার ব্যক্তি হলেন-তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজ উদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।