Flag - bd
Bengali
ঢাকা ১১:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সরকারে আ.লীগের প্রেতাত্মা রয়েছে বললেন কাদের গনি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৪৭:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১৭৪ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডিডিএম প্রতিবেদক :
জুলাই-আগষ্টের গণআন্দোলনের পর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশ চালাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু যাদের নিয়ে অন্তর্বর্তীসরকার দেশ চালাচ্ছে সেটা নিয়ে উঠেছে রাজ্যের সমালোচনা। আজ বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও উঠেছে এই অভিযোগ। সংগঠনের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্র দেশের ভেতর ও বাইরের। পতিত সরকারের দোসরদের চারপাশে বসিয়ে রেখে সংস্কার সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, এই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে আছে ফ্যাসিবাদের দালালরা। ডিসি হিসেবে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের অনেকই ফ্যাসিবাদের দোসর। সচিব, উপদেষ্টাদের পিএস, এপিএসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রায় সকলেই শেখ হাসিনার দোসর। এদের না সরালে সরকারকে বিপদে পড়তে হবে। বিভিন্ন বাহিনী থেকে ‘র’ এর এজেন্টদের সরাতে হবে। না হয় ফ্যাসিবাদ আবার টুস করে ঢুকে পড়বে।
শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টায় নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব বলেন। শহীদ তৌহিদ স্মৃতি সংসদ এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
শহীদ তৌহিদ স্মৃতি সংসদের সভাপতি আহসান উল্লাহ মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন জাকির এইচ চৌধুরী, আবদুর রহিম বাহার, নুর আলম, মাসুদ রানা,খান মোহাম্মদ টিপু, জাহাঙ্গীর আলম,মাহমুদুল হক, সালেহ আহমেদ রুমেল, মশিউর রহমান রুবেল, হারুন রশীদ, মোজাম্মেল হোসেন সাগর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আল মামুন সুমন।
২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারি বিএনপি নেতা তৌহিদ ইসলামকে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে র‍্যাব তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার দুই দিন পর ৩০ জানুয়ারি বেগমগঞ্জে রাস্তার পাশে তার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, আজ একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি অবদান তারেক রহমানের। তার নির্দেশেই আমরা জীবনবাজি রেখে রাজপথে নেমে এসেছিলাম। পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় তারেক রহমানকে মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। তাকে এখনো আমরা দেশে ফিরিয়ে আনতে পারিনি। বিভিন্ন রকম টালবাহানা চলছে। কোনোরকম টালবাহানা দেশের মানুষ সহ্য করবে না। আমরা পরিষ্কার করে সরকারকে বলে দিতে চাই, সব মামলা প্রত্যাহার করে দ্রুত তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
সাংবাদিক, পেশাজীবী ও আন্দোলনকারী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মামলার প্রসঙ্গ টেনে পেশাজীবীদের এ নেতা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় দেওয়া উদ্দেশ্যমূলক সমস্ত মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
অন্তর্বর্র্তী সরকারকে উদ্দেশ করে সাংবাদিকদের এই নেতা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিতর্কিত করার নানা ষড়যন্ত্র চলছে। কেউ কেউ বিগত দখলদার সরকারের মত এই সরকারকে ক্ষমতা দখলে রাখার কুপরামর্শ দিচ্ছে। এই ফাঁদে পা দেওয়া হবে তাদের জন্য আত্মঘাতী। বিএনপি বলেছে একটি যৌক্তিক সময় সরকারকে অবশ্যই দেবে। যৌক্তিক সময় মানে এই না যে তারা অনেক বেশি সময় নিয়ে আমাদের পূর্বের অভিজ্ঞতার মতো অন্য কিছুর মধ্যে জড়িয়ে দেবে। সেটা করা যাবে না। যত দ্রুত নির্বাচন দেওয়া যাবে, ততই দেশের জন্য এবং অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের জন্য মঙ্গলজনক হবে।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, পাঁচ বছর পরপর নির্বাচনের দাবি নিয়ে রাস্তায় নামতে হয়। নির্বাচন ব্যবস্থাকে আওয়ামী লীগ ধবংস করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচনব্যবস্থা চালু করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে। মানুষের অধিকার, মানবিক মূল্যবোধ, সাম্য প্রতিষ্ঠার ও বৈষম্য দূর করে মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য অতি দ্রুত আলোচনা করে সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা জরুরি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সরকারে আ.লীগের প্রেতাত্মা রয়েছে বললেন কাদের গনি

আপডেট সময় : ০২:৪৭:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ডিডিএম প্রতিবেদক :
জুলাই-আগষ্টের গণআন্দোলনের পর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশ চালাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু যাদের নিয়ে অন্তর্বর্তীসরকার দেশ চালাচ্ছে সেটা নিয়ে উঠেছে রাজ্যের সমালোচনা। আজ বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও উঠেছে এই অভিযোগ। সংগঠনের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্র দেশের ভেতর ও বাইরের। পতিত সরকারের দোসরদের চারপাশে বসিয়ে রেখে সংস্কার সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, এই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে আছে ফ্যাসিবাদের দালালরা। ডিসি হিসেবে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের অনেকই ফ্যাসিবাদের দোসর। সচিব, উপদেষ্টাদের পিএস, এপিএসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রায় সকলেই শেখ হাসিনার দোসর। এদের না সরালে সরকারকে বিপদে পড়তে হবে। বিভিন্ন বাহিনী থেকে ‘র’ এর এজেন্টদের সরাতে হবে। না হয় ফ্যাসিবাদ আবার টুস করে ঢুকে পড়বে।
শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টায় নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব বলেন। শহীদ তৌহিদ স্মৃতি সংসদ এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
শহীদ তৌহিদ স্মৃতি সংসদের সভাপতি আহসান উল্লাহ মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন জাকির এইচ চৌধুরী, আবদুর রহিম বাহার, নুর আলম, মাসুদ রানা,খান মোহাম্মদ টিপু, জাহাঙ্গীর আলম,মাহমুদুল হক, সালেহ আহমেদ রুমেল, মশিউর রহমান রুবেল, হারুন রশীদ, মোজাম্মেল হোসেন সাগর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আল মামুন সুমন।
২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারি বিএনপি নেতা তৌহিদ ইসলামকে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে র‍্যাব তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার দুই দিন পর ৩০ জানুয়ারি বেগমগঞ্জে রাস্তার পাশে তার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, আজ একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি অবদান তারেক রহমানের। তার নির্দেশেই আমরা জীবনবাজি রেখে রাজপথে নেমে এসেছিলাম। পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় তারেক রহমানকে মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। তাকে এখনো আমরা দেশে ফিরিয়ে আনতে পারিনি। বিভিন্ন রকম টালবাহানা চলছে। কোনোরকম টালবাহানা দেশের মানুষ সহ্য করবে না। আমরা পরিষ্কার করে সরকারকে বলে দিতে চাই, সব মামলা প্রত্যাহার করে দ্রুত তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
সাংবাদিক, পেশাজীবী ও আন্দোলনকারী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মামলার প্রসঙ্গ টেনে পেশাজীবীদের এ নেতা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় দেওয়া উদ্দেশ্যমূলক সমস্ত মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
অন্তর্বর্র্তী সরকারকে উদ্দেশ করে সাংবাদিকদের এই নেতা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিতর্কিত করার নানা ষড়যন্ত্র চলছে। কেউ কেউ বিগত দখলদার সরকারের মত এই সরকারকে ক্ষমতা দখলে রাখার কুপরামর্শ দিচ্ছে। এই ফাঁদে পা দেওয়া হবে তাদের জন্য আত্মঘাতী। বিএনপি বলেছে একটি যৌক্তিক সময় সরকারকে অবশ্যই দেবে। যৌক্তিক সময় মানে এই না যে তারা অনেক বেশি সময় নিয়ে আমাদের পূর্বের অভিজ্ঞতার মতো অন্য কিছুর মধ্যে জড়িয়ে দেবে। সেটা করা যাবে না। যত দ্রুত নির্বাচন দেওয়া যাবে, ততই দেশের জন্য এবং অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের জন্য মঙ্গলজনক হবে।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, পাঁচ বছর পরপর নির্বাচনের দাবি নিয়ে রাস্তায় নামতে হয়। নির্বাচন ব্যবস্থাকে আওয়ামী লীগ ধবংস করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচনব্যবস্থা চালু করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে। মানুষের অধিকার, মানবিক মূল্যবোধ, সাম্য প্রতিষ্ঠার ও বৈষম্য দূর করে মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য অতি দ্রুত আলোচনা করে সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা জরুরি।