ঢাকা ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রাজপথে জনস্রোত,লক্ষ্য সবার শহীদ মিনার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৬:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৯৪ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লুৎফুল আলম চৌধুরী :
‘সালাম সালাম হাজার সালাম, লাখো শহীদ স্মরণে, আমার হৃদয় রেখে দে-রে কাজ, তাদের স্মৃতির স্মরণে।’ শিল্পী আব্দুর জাব্বারের কন্ঠে গাওয়া এই গানটি আজ জনতার কন্ঠে জেগে উঠেছিলো আরেকবার।
ভাষা আন্দোলন এই প্রজম্ম দেখেনি। স্বাধীনতা যুদ্ধও দেখেনি তাদের বাবাদের অনেকেই। কিন্তু ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের স্বাধীনতা অর্জন,সর্বত্রে ছাত্র আন্দোলনের ভূমিকা ছিলো অনস্বীকার্য।
এরপর স্বাধীনতাত্তোর সব স্বৈরশাসকদের বিদায়ের ঘন্টাও বাজিয়েছিলেন দেশের ছাত্র সমাজ। গতকাল আবারো এই ছাত্র সমাজের হাত ধরে পতন হলো শেখ হাছিনার পনের বছরের স্বৈরশাসন।
সোমবার দুপুর একটায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেশ ত্যাগ করেন আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সদ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার বিদায়ের সংবাদ বাতাসে ভেসে উঠতেই আবাল বৃদ্ধ বনিতা রাজপথে নেমে বিজয় উৎসবে মেতে উঠেন। বেলা দুটা বাজতেই ঢাকার রাজপথ জনসমুদ্রে পরিনত হয়। এ যেন নতুন এক স্বাধীনতা অর্জনের উচ্ছাস। সকল পেশার মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে ছুটতে থাকে শহীদ মিনারে। সব প্রাপ্তির প্রতিফলন যেন এই শহীদ মিনারই।
ছাত্ররা যেখান থেকে শুরু করেছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলন অতপর এক দফা দাবী, সরকারের পদত্যাগ।
ছাত্রদের সম্মান জানাতেই এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্তর, দোয়েল চত্তর, শহীদ মিনার,শাহাবাগ ছিলো মানুষের স্রোত। ছাত্রদের দেখতেই অভিভাবক থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার লোকজন স্যালুট জানাচ্ছেন। আকবার হোসেন নামে এক অভিভাবক টিএসসি চত্তরে এক ছাত্রকে বলছেন, ‘সাবাস ছাত্ররা তোমরা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছো, আমাদের সাহসী হতে শিখিয়েছো। আগামীতে যারাই ক্ষমতায় আসবেন,তাদের রাষ্ট্র চালাতে গিয়ে দশবার ভাববেন।’
সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা যেতেই স্বস্তিতে বাঁচলেন যেন দেশের মানুষ। তারা যেন
নতুন এক স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করছেন।
ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল ছুটতে থাকে শাহবাগ এবং শহীদ মিনারের দিকে।
আব্দুল করিম নামে এক মধ্যবয়সী এই প্রতিবেদককে জানান, ‘সেই সিপাহীবাগ থেকে পায়ে হেটে এসেছি শহীদ মিনারে। কেন এসেছি সেটা জানিনা। তবে এক স্বৈরশাসকের বিদায়ে মনের ভিতর খুব আনন্দ লাগছে। কতোগুলো পোলা-পাইন মাইরা ফেললো এই খুনি সরকার, আমার জীবদশায় কখনো দেখিনি।’
রিকশা চালক মোবারক বলেন, ভাই বিনা পয়সা ছাত্রদের শহীদ মিনারে নিয়া আইসি। আজ আর টাকা লাগবো কইয়া দিছি। মনে বড়ো পূর্তি লাগছে।’
বেসরকারী অফিসে চাকরি করেন রফিক মৃধা। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করলে হয়ত এতোগুলো তাজা প্রাণ অকালে ঝরে যেতো না। হাছিনা সরকার নিজেই নিজের ক্ষতিটা করে গেলো। কাউকে দাম দিতে জানেন না। নাগরিকদের মানুষ ভাবতে জানেন না। তার দম্ভ, অহমিকাই দেশ এবং তার দল দুটোকেই ক্ষতিগ্রস্থ্য করেছে। আগামী পঞ্চাশ বছরের জন্য পিছিয়ে গেলো ঐতিহ্যবাহী এই দলটি। মাটিতে নেমে গেছে তাদের সকল অর্জন।’
তানজিম স্বাদ নামে এক কর্মজীবি বলেন, ‘আমার জীবদশায় আমি এমন স্বৈর শাসক দেখিনি। চেতনার বুলি আর অন্যদের কথায় কথায় রাজাকার উপাধি দিয়ে দেশটাকে শোষন, মানুষের উপর নিপীড়ন চালিয়েছে। পনেরটি বছর মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে শেখ হাছিনা সরকার। এবার দেখছেন নিয়তির খেলা, শেখ হাছিনা নিজেই দেশ থেকে পালিয়ে গেলেন। এই সরকার স্বৈর শাসক এরশাদের চেয়েও শতগুন খারাপ কাজ করেছে। এরশাদ তো পালিয়ে যাননি, শেখ হাছিনা পালিয়ে গেছেন এবং নিজের দলটাকেও বিপদের ফেলে গেছেন। রাজনৈতিকভাবে আগামী পঞ্চাশ বছরের জন্য পিছিয়ে গেলো আওয়ামী লীগ।’
তিনি আরো বলেন, দেখেন চোখের সামনেই দেখছেন, কি ভাবে শেখ হাসিনার ছবিতে সাধারণ মানুষ ক্রমাগত জুতা নিক্ষেপ করছে। উন্নয়ন উন্নয়ন বলে দেশটাকে আসলে তলাবিহীন ঝুড়ি বানিয়ে ফেলেছেন শেখ হাছিনা সরকার। এখন তো পালানো ছাড়াও কোন গতি নাই। দেশ চালানোর মতো টাকা পয়সা থাকলেই তো তিনি দেশে থাকতেন।’
রিকশা করে যাওয়া এক ভদ্র মহিলা বলেন, ভাই আত্মায় বড় শান্তি লাগছে, শান্তি। এই খুনি সরকার আমাদের ছেলেদের প্রতিদিন খুন করেছে। ছেলেদের রক্ত দিয়ে খুনি সরকার উল্লাসে মেতেছিলেন। এবার তাকে পালিয়ে যেতে হলো। এটাই হলো আল্লাহর মাইর।‘
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত প্রায় একমাস ধরে দেশজুড়ে ছাত্ররা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেন। কিন্তু সরকার ছাত্রদের এই আন্দোলনকে শান্ত না করে ্আরো উস্কে দিয়েছেন। এই প্রজন্মের ছাত্রদের গায়ে রাজাকারের তোমকা দিয়েছেন। যা কিনা দেশের ছাত্র সমাজ মেনে নিতে পারেন নি। তাদের আন্দোলনে সরকার নতজানু হয়ে কোটা সংস্কার করলেও ততদিনে ঝরে যায় দুই শতাধিক ছাত্রের তাজা প্রাণ। আন্দোলন রুপ নিয়ে আট দফায়। সর্বশেষ এক দফা রুপ দেয়। ততোদিনে কয়েক হাজার ছাত্র-পুলিশও সাধারণ মানুষের জীবন বিসর্জন হয়। সর্বশেষ গতদু’দিনেই সারা দেশে নিহতের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে যায়। স্বাধীনতা উত্তর যা আর কখনোই দেশের মানুষ দেখেনি।
ছাত্রদের আন্দোলনে সমর্থন দেন অভিভাবকরাও। ভীতিতে থাকা সাধারণ মানুষও নেমে পড়েন আন্দোলনে। দ্রব্য মূল্যের বাজারে জীবন অতিষ্ট হওয়ার সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিপ্রকাশ ঘটেছে ছাত্রদের এই আন্দোলনে। সব মিলে বড় এক রাজনৈতিক বিস্ফোরণ ফুটেছে আগস্টে। যে মাসটি ছিলো আওয়ামী লীগের শোকের মাস। সেই মাসের শুরুতেই দলটিকে আরেকটি বড় শোকে পেলে দিয়েছে দলটিরই প্রধান ব্যক্তি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রাজপথে জনস্রোত,লক্ষ্য সবার শহীদ মিনার

আপডেট সময় : ০৮:৩৬:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০২৪

লুৎফুল আলম চৌধুরী :
‘সালাম সালাম হাজার সালাম, লাখো শহীদ স্মরণে, আমার হৃদয় রেখে দে-রে কাজ, তাদের স্মৃতির স্মরণে।’ শিল্পী আব্দুর জাব্বারের কন্ঠে গাওয়া এই গানটি আজ জনতার কন্ঠে জেগে উঠেছিলো আরেকবার।
ভাষা আন্দোলন এই প্রজম্ম দেখেনি। স্বাধীনতা যুদ্ধও দেখেনি তাদের বাবাদের অনেকেই। কিন্তু ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের স্বাধীনতা অর্জন,সর্বত্রে ছাত্র আন্দোলনের ভূমিকা ছিলো অনস্বীকার্য।
এরপর স্বাধীনতাত্তোর সব স্বৈরশাসকদের বিদায়ের ঘন্টাও বাজিয়েছিলেন দেশের ছাত্র সমাজ। গতকাল আবারো এই ছাত্র সমাজের হাত ধরে পতন হলো শেখ হাছিনার পনের বছরের স্বৈরশাসন।
সোমবার দুপুর একটায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেশ ত্যাগ করেন আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সদ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার বিদায়ের সংবাদ বাতাসে ভেসে উঠতেই আবাল বৃদ্ধ বনিতা রাজপথে নেমে বিজয় উৎসবে মেতে উঠেন। বেলা দুটা বাজতেই ঢাকার রাজপথ জনসমুদ্রে পরিনত হয়। এ যেন নতুন এক স্বাধীনতা অর্জনের উচ্ছাস। সকল পেশার মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে ছুটতে থাকে শহীদ মিনারে। সব প্রাপ্তির প্রতিফলন যেন এই শহীদ মিনারই।
ছাত্ররা যেখান থেকে শুরু করেছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলন অতপর এক দফা দাবী, সরকারের পদত্যাগ।
ছাত্রদের সম্মান জানাতেই এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্তর, দোয়েল চত্তর, শহীদ মিনার,শাহাবাগ ছিলো মানুষের স্রোত। ছাত্রদের দেখতেই অভিভাবক থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার লোকজন স্যালুট জানাচ্ছেন। আকবার হোসেন নামে এক অভিভাবক টিএসসি চত্তরে এক ছাত্রকে বলছেন, ‘সাবাস ছাত্ররা তোমরা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছো, আমাদের সাহসী হতে শিখিয়েছো। আগামীতে যারাই ক্ষমতায় আসবেন,তাদের রাষ্ট্র চালাতে গিয়ে দশবার ভাববেন।’
সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা যেতেই স্বস্তিতে বাঁচলেন যেন দেশের মানুষ। তারা যেন
নতুন এক স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করছেন।
ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল ছুটতে থাকে শাহবাগ এবং শহীদ মিনারের দিকে।
আব্দুল করিম নামে এক মধ্যবয়সী এই প্রতিবেদককে জানান, ‘সেই সিপাহীবাগ থেকে পায়ে হেটে এসেছি শহীদ মিনারে। কেন এসেছি সেটা জানিনা। তবে এক স্বৈরশাসকের বিদায়ে মনের ভিতর খুব আনন্দ লাগছে। কতোগুলো পোলা-পাইন মাইরা ফেললো এই খুনি সরকার, আমার জীবদশায় কখনো দেখিনি।’
রিকশা চালক মোবারক বলেন, ভাই বিনা পয়সা ছাত্রদের শহীদ মিনারে নিয়া আইসি। আজ আর টাকা লাগবো কইয়া দিছি। মনে বড়ো পূর্তি লাগছে।’
বেসরকারী অফিসে চাকরি করেন রফিক মৃধা। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করলে হয়ত এতোগুলো তাজা প্রাণ অকালে ঝরে যেতো না। হাছিনা সরকার নিজেই নিজের ক্ষতিটা করে গেলো। কাউকে দাম দিতে জানেন না। নাগরিকদের মানুষ ভাবতে জানেন না। তার দম্ভ, অহমিকাই দেশ এবং তার দল দুটোকেই ক্ষতিগ্রস্থ্য করেছে। আগামী পঞ্চাশ বছরের জন্য পিছিয়ে গেলো ঐতিহ্যবাহী এই দলটি। মাটিতে নেমে গেছে তাদের সকল অর্জন।’
তানজিম স্বাদ নামে এক কর্মজীবি বলেন, ‘আমার জীবদশায় আমি এমন স্বৈর শাসক দেখিনি। চেতনার বুলি আর অন্যদের কথায় কথায় রাজাকার উপাধি দিয়ে দেশটাকে শোষন, মানুষের উপর নিপীড়ন চালিয়েছে। পনেরটি বছর মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে শেখ হাছিনা সরকার। এবার দেখছেন নিয়তির খেলা, শেখ হাছিনা নিজেই দেশ থেকে পালিয়ে গেলেন। এই সরকার স্বৈর শাসক এরশাদের চেয়েও শতগুন খারাপ কাজ করেছে। এরশাদ তো পালিয়ে যাননি, শেখ হাছিনা পালিয়ে গেছেন এবং নিজের দলটাকেও বিপদের ফেলে গেছেন। রাজনৈতিকভাবে আগামী পঞ্চাশ বছরের জন্য পিছিয়ে গেলো আওয়ামী লীগ।’
তিনি আরো বলেন, দেখেন চোখের সামনেই দেখছেন, কি ভাবে শেখ হাসিনার ছবিতে সাধারণ মানুষ ক্রমাগত জুতা নিক্ষেপ করছে। উন্নয়ন উন্নয়ন বলে দেশটাকে আসলে তলাবিহীন ঝুড়ি বানিয়ে ফেলেছেন শেখ হাছিনা সরকার। এখন তো পালানো ছাড়াও কোন গতি নাই। দেশ চালানোর মতো টাকা পয়সা থাকলেই তো তিনি দেশে থাকতেন।’
রিকশা করে যাওয়া এক ভদ্র মহিলা বলেন, ভাই আত্মায় বড় শান্তি লাগছে, শান্তি। এই খুনি সরকার আমাদের ছেলেদের প্রতিদিন খুন করেছে। ছেলেদের রক্ত দিয়ে খুনি সরকার উল্লাসে মেতেছিলেন। এবার তাকে পালিয়ে যেতে হলো। এটাই হলো আল্লাহর মাইর।‘
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত প্রায় একমাস ধরে দেশজুড়ে ছাত্ররা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেন। কিন্তু সরকার ছাত্রদের এই আন্দোলনকে শান্ত না করে ্আরো উস্কে দিয়েছেন। এই প্রজন্মের ছাত্রদের গায়ে রাজাকারের তোমকা দিয়েছেন। যা কিনা দেশের ছাত্র সমাজ মেনে নিতে পারেন নি। তাদের আন্দোলনে সরকার নতজানু হয়ে কোটা সংস্কার করলেও ততদিনে ঝরে যায় দুই শতাধিক ছাত্রের তাজা প্রাণ। আন্দোলন রুপ নিয়ে আট দফায়। সর্বশেষ এক দফা রুপ দেয়। ততোদিনে কয়েক হাজার ছাত্র-পুলিশও সাধারণ মানুষের জীবন বিসর্জন হয়। সর্বশেষ গতদু’দিনেই সারা দেশে নিহতের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে যায়। স্বাধীনতা উত্তর যা আর কখনোই দেশের মানুষ দেখেনি।
ছাত্রদের আন্দোলনে সমর্থন দেন অভিভাবকরাও। ভীতিতে থাকা সাধারণ মানুষও নেমে পড়েন আন্দোলনে। দ্রব্য মূল্যের বাজারে জীবন অতিষ্ট হওয়ার সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিপ্রকাশ ঘটেছে ছাত্রদের এই আন্দোলনে। সব মিলে বড় এক রাজনৈতিক বিস্ফোরণ ফুটেছে আগস্টে। যে মাসটি ছিলো আওয়ামী লীগের শোকের মাস। সেই মাসের শুরুতেই দলটিকে আরেকটি বড় শোকে পেলে দিয়েছে দলটিরই প্রধান ব্যক্তি।