ঢাকা ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সারাদেশ উত্তাল, নিহত ৪ আহত শতাধিক, বিজিবি মোতায়েন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৩:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪
  • / ২০৫ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডিডিএম প্রতিবেদক :
গত কয়েকদিন ধরেই কোটা সংস্কারেরর দাবীতে দেশব্যাপী চলছে ছাত্র আন্দোলন। ক্রমান্বয়ে ছাত্রদের এই আন্দোলন এখন বড় আকার ধারণ করেছে। গতকাল কোটা আন্দোলন কারীদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছাত্র লিগের সাংঘর্ষিক অবস্থান, ছাত্র আন্দোলন কারীদের আরো প্রতিবাদী করে তোলে। তারই ফলশ্রুতিতে আজ মঙ্গলবার দেশব্যাপী উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। অচল হয়ে পড়ে গোটা দেশ। সারা দেশে যানবাহন চলাচল বন্ধ প্রায়। দূর্ভোগে পড়েন কর্মমুখী মানুষ।
ছাত্র আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশ,বাংলাদেশ ছাত্র লিগ ও যুব লিগের সংঘর্ষে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে প্রচুর সংখ্যক ছাত্র নিহত ও আহত হন। এই রিপোর্ট পর্যন্ত আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষে ঢাকার নিউমার্কেটে এক, চট্টগ্রামে ২ ও রংপুরে একজন শিক্ষার্থী নিহত হন।
এছাড়া প্রচুর সংখ্যক শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি আছেন। শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও বগুড়ায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন এই তথ্য।
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা জানায়, চট্টগ্রামে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
এর আগে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আবু সাঈদ নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেরোবিতে অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আবু সাঈদ।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় গেটে জড়ো হলে তাদের ওপর রাবার বুলেট ও গুলি চালায় পুলিশ। এতে আবুদ সাঈদ নামের ওই শিক্ষার্থী নিহত হয়। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার উত্তম কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রংপুর খামার মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা বিশাল মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং ফটকের সামনে আসে। এ সময় তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। এরপর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ, শুরু হয় সংঘর্ষ। পুলিশ প্রায় ২০০ রাউন্ড গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়ে। শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।
এদিকে রাজধানীর চাঁনখারপুল এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে চার শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ্ হল-চানখারপুল রোডে দফায় দফায় চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এসময় চানখারপুল-ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) এলাকা দখলে নেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা। ফলে এই এলাকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে, ঢাকা মেডিকেল ও বার্ণ ইন্সটিটিউটে আসা অ্যাম্বুলেন্সকে নির্বিঘ্নে চলাচলের সুযোগ করে দিচ্ছেন তারা।
এর আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে শহিদুল্লাহ হল এলাকায় জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে চানখারপুলে এলাকা থেকে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে বহিরাগত ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ। জবাবে শিক্ষার্থীরাও ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এসময় তাদের তাড়া খেয়ে গ্রুপটি চানখারপুল থেকে ভেতরের গলিতে অবস্থান করছে। আন্দোলন পরিচালনায় ছাদের ওপর থেকে নির্দেশনা দিচ্ছে আরেকটি টিম। তবে এখন পর্যন্ত কারো আহত হবার খবর পাওয়া যায়নি। সরজমিনে ঢাবি শিক্ষার্থীদের ঢামেক রোড, বার্ন ইউনিট রোড, চানখারপুল মোড়ে অবস্থান নিতে দেখা যায়।
এদিকে রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা জজকোর্টের সামনে ছাত্রলীগের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ এক শিক্ষার্থীর নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার নাম নাসিম। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেয়া হয়েছে।
এর আগে, কোটা সংস্কারের দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে জড়ো হয় ছাত্রলীগ ও কোটা আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর ৩টায় পর থেকে এমন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, দিন বেলা ১২টা থেকে ঢাকার বিভিন্ন থানা, উপজেলা ও কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাসে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হতে থাকেন। একই সাথে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। অবস্থানরত নেতাকর্মীদের হাতে রড, স্ট্যাম্প, লাঠি ও পাইপসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র রয়েছে।
রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নেয়া ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের সাথে কথা বলে জানা যায়, এদের কেউ তেজগাঁও থানা ছাত্রলীগ, সাভার উপজেলা ছাত্রলীগ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ এবং বাংলা কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিটি কলেজের সামনে একজন পড়েছিলেন। স্থানীয় কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে পপুলার মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নেয়। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্ছু মিয়া জানান, ঢাকা সিটি কলেজের সামনে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে এর আগে বিকেলে ঢাকা কলেজের সামনে থেকেও একজনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সারাদেশ উত্তাল, নিহত ৪ আহত শতাধিক, বিজিবি মোতায়েন

আপডেট সময় : ০৭:৫৩:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

ডিডিএম প্রতিবেদক :
গত কয়েকদিন ধরেই কোটা সংস্কারেরর দাবীতে দেশব্যাপী চলছে ছাত্র আন্দোলন। ক্রমান্বয়ে ছাত্রদের এই আন্দোলন এখন বড় আকার ধারণ করেছে। গতকাল কোটা আন্দোলন কারীদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছাত্র লিগের সাংঘর্ষিক অবস্থান, ছাত্র আন্দোলন কারীদের আরো প্রতিবাদী করে তোলে। তারই ফলশ্রুতিতে আজ মঙ্গলবার দেশব্যাপী উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। অচল হয়ে পড়ে গোটা দেশ। সারা দেশে যানবাহন চলাচল বন্ধ প্রায়। দূর্ভোগে পড়েন কর্মমুখী মানুষ।
ছাত্র আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশ,বাংলাদেশ ছাত্র লিগ ও যুব লিগের সংঘর্ষে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে প্রচুর সংখ্যক ছাত্র নিহত ও আহত হন। এই রিপোর্ট পর্যন্ত আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষে ঢাকার নিউমার্কেটে এক, চট্টগ্রামে ২ ও রংপুরে একজন শিক্ষার্থী নিহত হন।
এছাড়া প্রচুর সংখ্যক শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি আছেন। শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও বগুড়ায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন এই তথ্য।
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা জানায়, চট্টগ্রামে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
এর আগে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আবু সাঈদ নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেরোবিতে অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আবু সাঈদ।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় গেটে জড়ো হলে তাদের ওপর রাবার বুলেট ও গুলি চালায় পুলিশ। এতে আবুদ সাঈদ নামের ওই শিক্ষার্থী নিহত হয়। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার উত্তম কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রংপুর খামার মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা বিশাল মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং ফটকের সামনে আসে। এ সময় তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। এরপর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ, শুরু হয় সংঘর্ষ। পুলিশ প্রায় ২০০ রাউন্ড গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়ে। শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।
এদিকে রাজধানীর চাঁনখারপুল এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে চার শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ্ হল-চানখারপুল রোডে দফায় দফায় চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এসময় চানখারপুল-ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) এলাকা দখলে নেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা। ফলে এই এলাকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে, ঢাকা মেডিকেল ও বার্ণ ইন্সটিটিউটে আসা অ্যাম্বুলেন্সকে নির্বিঘ্নে চলাচলের সুযোগ করে দিচ্ছেন তারা।
এর আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে শহিদুল্লাহ হল এলাকায় জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে চানখারপুলে এলাকা থেকে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে বহিরাগত ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ। জবাবে শিক্ষার্থীরাও ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এসময় তাদের তাড়া খেয়ে গ্রুপটি চানখারপুল থেকে ভেতরের গলিতে অবস্থান করছে। আন্দোলন পরিচালনায় ছাদের ওপর থেকে নির্দেশনা দিচ্ছে আরেকটি টিম। তবে এখন পর্যন্ত কারো আহত হবার খবর পাওয়া যায়নি। সরজমিনে ঢাবি শিক্ষার্থীদের ঢামেক রোড, বার্ন ইউনিট রোড, চানখারপুল মোড়ে অবস্থান নিতে দেখা যায়।
এদিকে রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা জজকোর্টের সামনে ছাত্রলীগের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ এক শিক্ষার্থীর নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার নাম নাসিম। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেয়া হয়েছে।
এর আগে, কোটা সংস্কারের দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে জড়ো হয় ছাত্রলীগ ও কোটা আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর ৩টায় পর থেকে এমন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, দিন বেলা ১২টা থেকে ঢাকার বিভিন্ন থানা, উপজেলা ও কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাসে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হতে থাকেন। একই সাথে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। অবস্থানরত নেতাকর্মীদের হাতে রড, স্ট্যাম্প, লাঠি ও পাইপসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র রয়েছে।
রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নেয়া ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের সাথে কথা বলে জানা যায়, এদের কেউ তেজগাঁও থানা ছাত্রলীগ, সাভার উপজেলা ছাত্রলীগ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ এবং বাংলা কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিটি কলেজের সামনে একজন পড়েছিলেন। স্থানীয় কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে পপুলার মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নেয়। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্ছু মিয়া জানান, ঢাকা সিটি কলেজের সামনে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে এর আগে বিকেলে ঢাকা কলেজের সামনে থেকেও একজনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।