ক্যারিয়ার বিদায়ী ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরলেন ডি মারিয়া

- আপডেট সময় : ০৮:৪৯:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪
- / ২১২ বার পড়া হয়েছে
ডিডিএম প্রতিবেদক :
স্বপ্নের বাস্তব রুপ খুব একটা দেখা যায় না। বিশ্বকাপের ট্রফি জয়ের স্বপ্নে ফুটবল ক্যারিয়ারের লম্বা সময় পার হয়ে যায় ডি মারিয়ার। মেসির সঙ্গে তার সে স্বপ্নটা পূরণ হয় কাতার বিশ্বকাপে। ধারনা করা হয়েছিলো দু’জন ওখানেই ক্যারিয়ারের ইতি টানছেন। কিন্তু এরপরেও আরো দুই বছর খেলেন। তাও দাপুটে। ক্যারিয়ারের শেষ বিকালে এসে স্বপ্ন ছিলো কোপা আমেরিকা কাপ জিতার। কারণ মহাদেশীয় এই ট্রফিতেই দেশীয় জার্সিতে শেষ খেলাটা খেলার ঘোষনা দিয়েছিলেন। সতীর্থ মেসি বাহিনীতে পূরণ হলো তার সেই ক্যারিয়ার শেষ বেলার স্বপ্ন। কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে ব্যাক টু ব্যাক ট্রফি জয় করে।
সেই ট্রফি কোলে আজ দেশে ফিরেছেন ডি মারিয়াও আর্জেন্টিনা দল। তাও রেপ্লিকা ট্রফি নয়, অর্জিনাল ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরেন। তাও ২৩ বছর পর। এর আগে সবশেষ আসল ট্রফি দেওয়া হয়েছিল ২০০১ সালের কোপা আমেরিকার জয়ী দলকে। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কলম্বিয়া। যেটা কোপা আমেরিকায় তাদের একমাত্র সাফল্য। এবারও তাদের আসল ট্রফি জিতে নেওয়ার সুযোগ ছিল। নির্ধারিত সময়ে তারা জমাট লড়াই করলেও অতিরিক্ত সময়ে লাউতারো মার্তিনেজের গোলে ম্যাচ জিতে নেয় আর্জেন্টিনাই।
সবমিলিয়ে রেকর্ড ১৬তম বারের মতো কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। রেকর্ড হয়েছে আরও একটি। স্পেনের পর দ্বিতীয় ও লাতিন আমেরিকার প্রথম দল হিসেবে টানা তিনটি মেজর টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতে নিল তারা। ২০২১ কোপা আমেরিকা ও ২০২২ বিশ্বকাপের পর ২০২৪ কোপা আমেরিকা জয়ের স্বাদ পেল আলবিসেলেস্তেরা।
আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার রাত ১০টায় বুয়েন্স আয়ার্সের ইজিজা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় চ্যাম্পিয়নরা। আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানানো আনহেল ডি মারিয়ার নেতৃত্বে দলটি বিমানবন্দরে পা রাখে। তাদের সঙ্গে ছিলেন কোচ লিওনেল স্কালোনি এবং দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ক্লাদিও তাপিয়া। বিমানের গায়ে লেখা ছিল, ‘আমরা চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে এসেছি।’
তবে এই দলের সঙ্গে ছিলেন না লিওনেল মেসি, এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো, হুলিয়ান আলভারেজ, নিকোলাস ওতামেন্দি ও জেরোনিমো রুল্লি। শেষের তিন জন প্যারিস অলিম্পিকে খেলতে হ্যাভিয়ের মাসচেরানোর দলে যোগ দিবেন। ব্যক্তিগত কাজে থেকে গেছেন এমিলিয়ানো ও তাগলিয়াফিকো। আর গোড়ালির চোটের জন্য মায়ামিতে নিজ ক্লাবের অধীনে চিকিৎসা করাবেন মেসি।
বিমানবন্দরে অপেক্ষায় থাকা ভক্ত-সমর্থকরা খেলোয়াড়দের বরণ করে নেয়। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে দুটি বাসে করে লিওনেল আন্দ্রেস মেসি স্টেডিয়ামে সমর্থকদের সঙ্গে উৎসবে যোগ দেন দি মারিয়ারা। এরপর এএফএ গ্রাউন্ডে পৌঁছানোর পর তাদের জন্য আরও একটি বিস্ময় ছিল। চিত্তাকর্ষক আতশবাজির প্রদর্শনীতে কনফেটির ঝরনায় খেলোয়াড়দের অভ্যর্থনা জানানো হয়।