রাতেই বার্বাডোজে ফাইনাল, ভারতের দ্বিতীয় না প্রোটিয়াদের প্রথম

- আপডেট সময় : ০২:৫৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪
- / ২১৩ বার পড়া হয়েছে
ডিডিএম ক্রীড়া প্রতিবেদক :
রাতেই যুক্তরাষ্ট-ওয়েস্টইন্ডিজ যৌথ আয়োজিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় সরাসরি দেখা যাবে এই ম্যাচ। প্রতিপক্ষ দুই দল ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের দ্বিতীয়বার শিরোপা জেতার সম্ভাবনা উকি মারলেও দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য প্রথম।এর আগে ২০০৭ ও ২০১৪ সালে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল উপমহাদেশের দলটি। ২০০৭ সালে প্রথম বিশ্বকাপের শিরোপা জিতলেও, ২০১৪ সালের ফাইনালে হেরে যায় ভারত। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার কাছে ৬ উইকেটে হেরেছিল টিম ইন্ডিয়া। আর দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম বিশ্বকাপে টান-টান উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালে পাকিস্তানকে ৫ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। আর তাই মাঠের লড়াইয়ের আগে শুরু হয়ে গেছে দুইদলের সম্ভাবনা নিয়ে যতো আলোচনা। দু’টি দলই দাপুটে ক্রিকেট খেলে উঠে এসেছে ফাইনালে। আছে মারকুটে ব্যাটিং ও বোলিং লাইন। তবু্ বার্বাডোজের উইকেটে শিরোপা লড়াই নিয়ে থাকছে রাজ্যের রহস্য।
এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা ৮টি ম্যাচ জিতেছে। ভারতও একটি ম্যাচ হারেনি। তবে গ্রুপ পর্বে বৃষ্টির কারণে কানাডার সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি হওয়ায় ৭টি ম্যাচে জিতেছে ভারত। যা এই দু’দলের বিশ্বকাপ ইতিহাসে এক আসরে সর্বোচ্চ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড।
দুই অধিনায়কের ভাবনা
সেমিফাইনালের শাপমোচন হয়েছে। ফাইনালের আগে যা বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ফাইনাল নিয়ে দলের অধিনায়ক এইডেন মার্করাম বলেন, ‘ফাইনালে খেলার সুযোগ পাওয়া বিশাল অর্জন। আমরা যখন বিশ্বকাপের জন্য আসি, শুধু ফাইনালে খেলতে আসিনি। আমরা অন্য সব দলের মতো ফাইনাল জিততে এসেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সাদা বলের দুই ফরম্যাটে দীর্ঘদিন ধরেই একসঙ্গে খেলছে এই দলটি। ফাইনালে উঠতে পারাটা দারুণ। আমরা বিশ্বের যে কোনো দলের সাথেই লড়াই করতে পারি ও শিরোপা জিততে পারি বলে বিশ্বাস করি। সেই সুযোগ এখন সামনে আসায় ভালো লাগছে।’
দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, ‘আমাদের সামনে ২০০৭ সালের সুখস্মৃতি ফিরিয়ে আনার সুবর্ণ সুযোগ। ১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফি জিততে মুখিয়ে আছে দলের সবাই। ওই আসরের দলে আমি ছিলাম। আশা করছি আবারও শিরোপা জয়ের উৎসবে মেতে উঠতে পারবো আমরা।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনাল নিয়ে রোহিত বলেন, ‘দল হিসেবে আমাদের খুব শান্ত থাকতে হবে। কারণ, মাথা ঠান্ডা থাকলে ও চাপ না নিলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। ফাইনালে জিততে হলে ভাল ক্রিকেট খেলা ছাড়া অন্য কোন পথ নেই। আমরা এবার আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলছি। ফাইনালে একই পরিকল্পনায় খেলতে চাই।’
ফাইনালে উঠলেও, দলের সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলির ফর্ম নিয়ে আবারও প্রশ্ন শুনতে হয়েছে রোহিতকে। কিন্তু কোহলির ফর্ম নিয়ে চিন্তা নেই ভারতের। রোহিত বলেন, ‘কোহলি কেমন ক্রিকেটার তা আমরা সবাই জানি। সবার ক্যারিয়ারেই খারাপ সময় আসে। আবার খারাপ সময় কেটে যায়। সে রানের জন্য মুখিয়ে আছে। ফাইনালেও সে ওপেন করবে। আমরা আশা করছি, ফাইনালে কোহলির ব্যাট কথা বলবে।’
পরিসংখ্যানে আফ্রিকা-ভারত
এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে ২৬ বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এরমধ্যে ভারতের ১৪ ও দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ১১ ম্যাচে। ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মোট ৬বার মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। এই মঞ্চেও জয়ের ক্ষেত্রে এগিয়ে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার ২ জয়ের বিপরীতে ভারতের জয় ৪টিতে। মুখোমুখি লড়াইয়ের ২০০৭, ২০১০, ২০১২ ও ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ভারত এবং ২০০৯ ও ২০২২ সালের আসরে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
দুই দলের স্কোয়াড
ভারত দল : রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), হার্দিক পান্ডিয়া, যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, রিশভ পন্ত (উইকেটরক্ষক), সঞ্জু স্যামসন, শিবাম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল, আর্শদীপ সিং, জসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ।
দক্ষিণ আফ্রিকা দল : এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), অটনিল বার্টম্যান, জেরাল্ড কোয়েটজি, কুইন্টন ডি কক, বিজর্ন ফরচুইন, রেজা হেনড্রিক্স, মার্কো জানসেন, হেনরিচ ক্লাসেন, কেশব মহারাজ, ডেভিড মিলার, এনরিখ নর্কিয়া, কাগিসো রাবাদা, রায়ান রিকেলটন, তাবরাইজ শামসি, ট্রিস্টান স্টাবস।