প্রোটিয়াদের কাঁপিয়ে নেপালীদের হুঙ্কার এবার বাংলাদেশকে

- আপডেট সময় : ০১:৩৬:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪
- / ২৩০ বার পড়া হয়েছে
লুৎফুল আলম চৌধরী :
ক্রিকেট বিশ্বে নেপালের জন্য হতে পারত রুপ কথার গল্প। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১ রানে হারের দূরত্বটাই বলছে সে কথা। জয় নিশ্চিত ছিলো। কিন্তু সেই তর তারা সইতে পারেনি। সেন্ট ভিনসেন্টের মাঠে শেষ বলে ২ রানের চাহিদায় স্নায়ু ধরে রাখতে পারেননি নেপালের ব্যাটার গুলশান ঝা। সুযোগ থাকার পরও রান শেষ করার বদলে আড়ষ্ট হয়ে অল্পের জন্য রান আউট হন। ফলে ১ রানে হেরে জন্ম হয় ট্র্যাজেডির। প্রোটিয়াদের ১১৫ রান তাড়ায় ১১৪ রানে থেমে যায় নেপাল। এই ম্যাচ জিতলে সুপার এইটে যাওয়ার সম্ভাবনাও জাগিয়ে ফেলত হিমালয়ের দেশ। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটা তাদের জন্য হয়ে যেত নকআউট।
কিন্তু সেটা আর হয়নি। কত কাছে কিন্তু কত দূরে! নেপালের ক্রিকেটের রূপকথার মতন এক দিন চলে আসত আর একটু হলেই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ বলে সমীকরণ মেলাতে না পারলেও নিজেদের পারফরম্যান্সে গর্বিত নেপাল অধিনায়ক রোহিত পাউডেল। টুর্নামেন্ট থেকে আউট হলেও প্রোটিয়াদের কাঁপিয়ে দেওয়ার বিশ্বাস থেকে এবার বাংলাদেশকে হারাতে চায় তারা। আগামী ১৭ জুন এই মাঠেই প্রতিবেশি বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়বে তারা।
এ যাবৎকালে এটিই ছিলো নেপালীদের সেরা পারফরম্যান্স। আর বাংলাদেশকে আটকে দিতে পারলে সেটি হবে নতুন আরেক রুপ কথার গল্প। তবে মাঠের যে চরিত্র তাতে বিচিত্র কিছু নয়।
তারচেয়ে বড় কথা শেষ ম্যাচ খেলার আগে ভালো করার রসদ পাচ্ছে দলটি। তাদের ক্রিকেটের জন্য টেস্ট খেলুড়ে একটা দেশকে হারাতে পারা হবে বিশাল ব্যাপার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অল্পের জন্য না পারলেও বাংলাদেশকে হারিয়ে সেই আক্ষেপ মেটাতে চায় তারা, ‘আমরা এই পরিস্থিতি (সুপার এইট নিয়ে) নিয়ে অবগত ছিলাম। আজ জিতলে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটা নক আউট হতো। এটা যেহেতু হয়নি, পরের ম্যাচ গর্বের জন্য খেলব। আমরা টেস্ট খেলুড়ে দেশকে হারাতে চাই। আজ হয়নি, আগামী ম্যাচে সেটা করতে চাই। আজ যেই আত্মবিশ্বাস পেলাম সেটা ধরে রাখতে চাই।’
আমরা আজ যেভাবে খেলেছি এটা দেখিয়েছে আমরা এখানে কেন এসেছি। এটা আমাদেরকে বাংলাদেশের বিপক্ষে পরের ম্যাচে আত্মবিশ্বাস যোগাবে।’
প্রোটিয়াদের মূল স্কোয়াডকে হারানোর সুযোগ হাতছাড়া হলেও তুমুল লড়াই করে বিশ্ব ক্রিকেটে শ্রদ্ধা আদায় করেছে নেপাল। অধিনায়ক রোহিতও তাই দল নিয়ে, পারফরম্যান্স নিয়ে বেশ গর্বিত, ‘এই দল নিয়ে আমি অনেক গর্বিত। বিশেষ করে যেভাবে বোলিং ও ব্যাটিং করেছি তাতে গর্বিত।’
‘আমরা খুব কাছে গিয়েছিলাম, চাপের মুহূর্তেও ভালো করছিলাম, শেষে গিয়ে পারিনি। আমরা যদি নিয়মিত বড় মঞ্চে খেলার সুযোগ পাই তাহলে এসব ম্যাচ জিততে পারব।’