ঢাকা ০২:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

যু্ক্তরাষ্ট্রের কাছে সুপার ওভারে হার নিয়ে হাফিজের যে প্রশ্ন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:০৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪
  • / ২১১ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডিডিএম ক্রীড়া ডেস্ক :
চলমান বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সুপার ওভারে হেরে হেছে পাকিস্তান। যা কিনা এবারের আসরের প্রথম দূর্ঘটানা হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। নিজেদের বোলারদের অতিরিক্ত রান দেয়ার খেসারত দিতে হয়েছে পাকিস্তানকে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র রীতিমতো চমক দেখিয়েছে। তারা যে শক্তিশালী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে তা বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের সিরিজ জিতেই দেখিয়েছে। এবার মূল লড়াইয়ে শক্তিশালী পাাকিস্তানকে হারালো রীতিমতো প্রভাব বিস্তার করে। ব্যাটিং এবং বোলিং দু’দিকেই তারা দাপুটে নৈপুন্য দেখিয়েছে। পাকিস্তানের করা ১৫৯ রান স্পর্শ করার পর আমিরের করার সুপার ওভারে যুক্তরাষ্ট্র ১৯ রান সংগ্রহ করে। যা অতিক্রম করতে পারেনি পাকিস্তান।
এ নিয়ে ক্ষোভ ঝরছে পাকিস্তানে। দলটির সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজ সুপার ওভারের দুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, সুপার ওভারে মোহাম্মদ আমিরকে কেন বোলিং দেয়া হয়েছে, আর ইফতিখার আহমেদের বদলে ফখর জামান কেন স্ট্রাইকে যাননি?
বৃহস্পাতিবার (৬ জুন) ডালাসে মূল ম্যাচের শেষ বলে চার মেরে পাকিস্তানের ১৫৯ রান স্পর্শ করে যুক্তরাষ্ট্র। পরে খেলা সুপার ওভারে গড়ালে আমির ৬ বলে দেন ১৮ রান। এর মধ্যে বাউন্ডারি মাত্র একটি হলেও অতিরিক্ত থেকে মোট ৭ রান দেয় পাকিস্তান। রান তাড়ায় পাকিস্তান তুলতে পারে ১৩ রান। ইফতিখারের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে নামলেও ফখর পুরো ওভার নন–স্ট্রাইক প্রান্তেই ছিলেন।
পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়কের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে পাকিস্তান একটি নয়, দুটি ম্যাচ হেরেছে। পাকিস্তান সুপার ওভারে তো হেরেছেই, তার আগে টাই হওয়া ২০ ওভারের ম্যাচেও হেরেছে।
পিটিভির ‘গেম অন হ্যায়’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আমিরের বোলিং ও ফখরের নন–স্ট্রাইকে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন হাফিজ, আমরা এক দিনে দুটি ম্যাচ হেরেছি। একটি ২০ ওভারে, আরেকটি সুপার ওভারে। বুঝলাম, এটা নার্ভাসনেস থেকে হয়েছে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং,সবকিছুতেই নার্ভাসনেস। (যার ফলে) সঠিক সিদ্ধান্তটি নেয়া গেল না।
অনুষ্ঠানে হাফিজের সঙ্গে ছিলেন সাবেক ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার ও সাবেক অধিনায়ক ইউনিস খান। শোয়েবের দিকে তাকিয়ে হাফিজ জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনার হাতে চারজন পেসার আছ। শেষ ওভার বা সুপার ওভারে আপনি কার হাতে বল তুলে দেবেন?’
ফখর মাঠে নামলেও কেন তাকে নন-স্ট্রাইকে রেখে ইফতিখারকে স্ট্রাইক দেয়া হয়েছে, সেটাও মানতে পারছেন না হাফিজ। এ বিষয়ে তার বক্তব্য এ রকম, এবার ব্যাটিংয়ের কথায় আসি। এর আগপর্যন্ত যা হবার, তা তো হয়েছেই। আমি সবাইকে জিজ্ঞেস করতে চাই, ফখর জামান কি প্রথম বল খেলার মতো ব্যাটসম্যান, না কি নন–স্ট্রাইকে দাঁড়িয়ে থাকার ব্যাটসম্যান? আপনি দেখছেন বাঁহাতি পেসার বোলিংয়ে, যে ওয়াইড ইয়র্কার করে বল বের করে নিতে চাইবে। এ সময়ে ডানহাতি ব্যাটসম্যান করবেটা কী? এটা তো বিতর্কিত সিদ্ধান্ত।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

যু্ক্তরাষ্ট্রের কাছে সুপার ওভারে হার নিয়ে হাফিজের যে প্রশ্ন

আপডেট সময় : ০৭:০৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪

ডিডিএম ক্রীড়া ডেস্ক :
চলমান বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সুপার ওভারে হেরে হেছে পাকিস্তান। যা কিনা এবারের আসরের প্রথম দূর্ঘটানা হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। নিজেদের বোলারদের অতিরিক্ত রান দেয়ার খেসারত দিতে হয়েছে পাকিস্তানকে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র রীতিমতো চমক দেখিয়েছে। তারা যে শক্তিশালী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে তা বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের সিরিজ জিতেই দেখিয়েছে। এবার মূল লড়াইয়ে শক্তিশালী পাাকিস্তানকে হারালো রীতিমতো প্রভাব বিস্তার করে। ব্যাটিং এবং বোলিং দু’দিকেই তারা দাপুটে নৈপুন্য দেখিয়েছে। পাকিস্তানের করা ১৫৯ রান স্পর্শ করার পর আমিরের করার সুপার ওভারে যুক্তরাষ্ট্র ১৯ রান সংগ্রহ করে। যা অতিক্রম করতে পারেনি পাকিস্তান।
এ নিয়ে ক্ষোভ ঝরছে পাকিস্তানে। দলটির সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজ সুপার ওভারের দুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, সুপার ওভারে মোহাম্মদ আমিরকে কেন বোলিং দেয়া হয়েছে, আর ইফতিখার আহমেদের বদলে ফখর জামান কেন স্ট্রাইকে যাননি?
বৃহস্পাতিবার (৬ জুন) ডালাসে মূল ম্যাচের শেষ বলে চার মেরে পাকিস্তানের ১৫৯ রান স্পর্শ করে যুক্তরাষ্ট্র। পরে খেলা সুপার ওভারে গড়ালে আমির ৬ বলে দেন ১৮ রান। এর মধ্যে বাউন্ডারি মাত্র একটি হলেও অতিরিক্ত থেকে মোট ৭ রান দেয় পাকিস্তান। রান তাড়ায় পাকিস্তান তুলতে পারে ১৩ রান। ইফতিখারের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে নামলেও ফখর পুরো ওভার নন–স্ট্রাইক প্রান্তেই ছিলেন।
পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়কের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে পাকিস্তান একটি নয়, দুটি ম্যাচ হেরেছে। পাকিস্তান সুপার ওভারে তো হেরেছেই, তার আগে টাই হওয়া ২০ ওভারের ম্যাচেও হেরেছে।
পিটিভির ‘গেম অন হ্যায়’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আমিরের বোলিং ও ফখরের নন–স্ট্রাইকে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন হাফিজ, আমরা এক দিনে দুটি ম্যাচ হেরেছি। একটি ২০ ওভারে, আরেকটি সুপার ওভারে। বুঝলাম, এটা নার্ভাসনেস থেকে হয়েছে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং,সবকিছুতেই নার্ভাসনেস। (যার ফলে) সঠিক সিদ্ধান্তটি নেয়া গেল না।
অনুষ্ঠানে হাফিজের সঙ্গে ছিলেন সাবেক ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার ও সাবেক অধিনায়ক ইউনিস খান। শোয়েবের দিকে তাকিয়ে হাফিজ জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনার হাতে চারজন পেসার আছ। শেষ ওভার বা সুপার ওভারে আপনি কার হাতে বল তুলে দেবেন?’
ফখর মাঠে নামলেও কেন তাকে নন-স্ট্রাইকে রেখে ইফতিখারকে স্ট্রাইক দেয়া হয়েছে, সেটাও মানতে পারছেন না হাফিজ। এ বিষয়ে তার বক্তব্য এ রকম, এবার ব্যাটিংয়ের কথায় আসি। এর আগপর্যন্ত যা হবার, তা তো হয়েছেই। আমি সবাইকে জিজ্ঞেস করতে চাই, ফখর জামান কি প্রথম বল খেলার মতো ব্যাটসম্যান, না কি নন–স্ট্রাইকে দাঁড়িয়ে থাকার ব্যাটসম্যান? আপনি দেখছেন বাঁহাতি পেসার বোলিংয়ে, যে ওয়াইড ইয়র্কার করে বল বের করে নিতে চাইবে। এ সময়ে ডানহাতি ব্যাটসম্যান করবেটা কী? এটা তো বিতর্কিত সিদ্ধান্ত।’