ব্রণ দূর হবে নিমপাতার গুণে

- আপডেট সময় : ০৫:৫২:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪
- / ৩০৪ বার পড়া হয়েছে
প্রতিটি মানুষের আকাঙ্ক্ষা থাকে দাগহীন ও কোমল ত্বক পাওয়া। আমাদের মুখে একটা ব্রণ হলে বা ত্বকের কোন সমস্যা হলেই আমাদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই।
অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে অনেক সময় ব্রণ হয়ে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন দূষণ এবং প্রচুর রাসায়নিকযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর এই ব্রণ হওয়ার কারণে ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় এবং দেখতে বাজে লাগে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বককে দাগহীন ও উজ্জ্বল রাখেন। তেমনই এক ভেষজ হলো নিম পাতা। নিম পাতা ব্যবহারের মাধ্যমে পেতে পারেন দাগহীন ও উজ্জ্বল ত্বক। বহুযুগ ধরে ত্বক ও স্বাস্থ্যের উন্নতিতে নিম পাতা ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
কারণ ব্রণের দাগ থেকে শুরু করে চুলকানি- ত্বকের নানা সমস্যা দূর করতে এটি বেশ কার্যকরী। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্রণ দূর করতে নিমপাতা যেভাবে ব্যবহার করবেন-
১. নিমপাতার প্যাক
প্রথমে একমুঠো পরিষ্কার নিমপাতা নিন। এরপর তা ভালো করে পেস্ট করে নিন। এবার সেই পেস্টের সঙ্গে মেশান সামান্য লেবুর রস ও গোলাপ জল। পেস্ট খুব বেশি পাতলা করবেন না। এবার সেই মিশ্রণ মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিন। মুখের পাশাপাশি ঘাড়ে, বগলে, কনুইতেও লাগিয়ে নিতে পারেন। এভাবে রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ব্যবহার করলে দ্রুতই ব্রণের সমস্যা দূর হবে।
২. নিমপাতা ও অ্যালোভেরা
ত্বকের যত্নের জন্য উপকারী একটি উপাদান হলো অ্যালোভেরা। এর সঙ্গে নিমপাতা মিশিয়ে ব্যবহার করলে আরও বেশি উপকার পাবেন। ব্রণ ও এর দাগছোপ দূর করার জন্য নিম পাতা শুকিয়ে গুঁড়া করে নিতে হবে। এবার সেই গুঁড়া অ্যালেভেরার পাতার ভেতরের জেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এরপর সামান্য লেবু আর মধু মিশিয়ে তা মুখে মাখুন। পরে ভালো করে ধুয়ে নিন।
৩. নিমপাতা, চন্দন বা হলুদ
ব্রণ দূর করার জন্য আপনি নিমপাতার সঙ্গে চন্দন মিশিয়েও প্যাক তৈরি করতে পারেন। যাদের ঠান্ডালাগার ভয় রয়েছে তারা চন্দনের পরিবর্তে হলুদ বাটাও মেশাতে পারেন। তবে ব্রণের সমস্যার ক্ষেত্রে চন্দনই বেশি কার্যকরী। এই দুই উপাদান মিশিয়ে নিন। এরপর সেই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন মিনিট দশেক। এরপর মুখ পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। শুকনো তোয়ালে দিয়ে আলতো হাতে মুখ মুছে তাতে গোলাপজল লাগিয়ে নিন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলেই উপকার পাবেন।